খবর৭১ঃ বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর মরদেহ বৃহস্পতিবার ঢাবির মিলন চত্বরে নেয়া হবে। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ সেখানে নেয়া হবে। মৃত্যুর আগে দেহ দান করায় শ্রদ্ধা জানানোর পর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান প্রবীণ এই রাজনীতিক। ৮৭ বছর বয়সী মুবিনুল হায়দার অবিবাহিত ছিলেন।
হায়দার চৌধুরী গত ১৪ মার্চ গোসল করতে গিয়ে বাথরুমে পড়ে যান। এতে তার মাথায় আঘাত লাগে ও রক্তপাত হয়। তার মেরুদণ্ডের একটি হাড়ও ভেঙে যায় এবং স্নায়ুতে চাপ লাগার কারণে দুই হাত, দুই পা আংশিক অবশ হয়ে পড়ে। এরপর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত মাসের ২৭ তারিখে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
মৃত্যুর পর অশীতিপর মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর মরদেহ হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেকে দেয়া হবে।
মুবিনুল হায়দার ভারতের কমিউনিস্ট দল স্যোসালিস্ট ইউনিটি সেন্টারের সঙ্গে (এসইউসিআই) যুক্ত ছিলেন। একাত্তরে স্বাধীনতার পর তিনি দেশে ফেরেন। ১৯৮০ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ভেঙে বাসদ হওয়ার পেছনে মুবিনুল হায়দারের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ২০১৩ সালে খালেকুজ্জামানের বাসদ থেকে বেরিয়ে বাসদ (মার্কবাদী) গঠন করেন মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ও শুভ্রাংশু চক্রবর্তী। তাকে বাসদের তাত্ত্বিক নেতা মনে করা হত।