খবর৭১ঃ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জিনজিয়াং প্রদেশে চীন সরকারের নীতিকে সমর্থন করলেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই সাথে চীনের একদলীয় শাসনব্যবস্থারও প্রশংসা করেছেন তিনি। সূত্র, আল জাজিরা।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামাবাদ ভ্রমণ করেন চাইনিজ নিউজ মিডিয়ার সদস্যরা। বৃহস্পতিবার তাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করে আসছে যে, উইঘুর মুসলিমদের উপর চীন পদ্ধতিগত ও ব্যাপক নির্যাতন করে আসছে। যা ‘মানবতীবিরোধী অপরাধের’ পর্যায়ে পড়ে।
গত মাসে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে জিনজিয়াঙের পরিস্থিতিকে ‘অ্যা ডিসপোটিয়ান হেলস্কেপ’ অর্থাৎ এমন একটি জায়গা যেখানকার পরিস্থিতি খুবই শোচনীয় বলে উল্লেখ করে।
ইমরান খান বারবার ইসলামোফোবিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলে আসছেন। উইঘুর মুসলমানদের উপর কোনো নির্যাতন হচ্ছে না বলে চীন সরকার যে দাবি করে আসছে ইমরান খান তাকে সমর্থন করেছেন।
ইমরান খান বলেছেন, ‘চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের চমৎকার যোগাযোগ আছে। পশ্চিমা মিডিয়ায় যেভাবে উইঘুর পরিস্থিতি তুলে ধরা হয় বা ওই অঞ্চল নিয়ে পশ্চিমা সরকারগণ যেভাবে কথা বলেন তা সেখানে বাস্তবে যা ঘটছে তার সম্পূর্ণ বিপরীত।’
তিনি আরো বলেন, ‘চীনের সাথে আমাদের সম্পর্ক অনেক শক্তিশালী। বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সুতরাং, চীন যেটা বলে সেটি আমরা বিশ্বাস করি। জিনজিয়াঙে তারা যে কর্মসূচির কথা বলে তা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়।’
চীনের সাথে পাকিস্তানের দীর্ঘদিন ধরে দারুণ কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে পাকিস্তানে ৬০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পাকিস্তানে বিনিয়োগ করেছে।