খবর৭১ঃ সাত জেলায় লকডাউনের কারণে রাজধানীতে বন্ধ বাইরের বাসের প্রবেশ। এজন্য সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কমেছে। তাই বাসের জন্য যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।
আজ বুধবার (২৩ জুন) সকালে রাজধানীর আসাদগেট, শুক্রাবাদ ও রাসেল স্কয়ার এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। সকাল থেকেই এসব সড়কে গণপরিবহনের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি।
আন্তঃজেলার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের কেবল রাজধানীতে চলাচল করা বাসগুলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার প্রতি দুই সিটে বসছেন একজন করে। যার ফলে যাত্রীর তুলনায় বাসের সংখ্যা অনেকটাই কম। তাই একটি বাস থামলেই তাতে হুড়োহুড়ি করে উঠতে দেখা যায় যাত্রীদের। এমন অবস্থায় বেশি বিপাকে পড়ছেন চাকরিজীবী নারী এবং অসুস্থরা।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মালিহা আক্তার। তিনি বললেন, দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেও কোনো বাসে উঠতে পারছি না। যে বাসগুলো আসছে পুরুষরা আগে উঠে যাচ্ছেন। আমরা নারীরা উঠতেই পারছি না। এমন করেই প্রতিদিন অফিসে যেতে হয়, আবার অফিস থেকে ফিরতে হয়।
রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, এ রুটে চলাচলকারী অন্যান্য জেলার বাসের সংখ্যা একেবারেই নেই। তাই সরকারের উচিত বিআরটিসির বাস নামানো, যাতে করে মানুষকে দুর্ভোগ না পোহাতে হয়। সড়কে গণপরিবহন একেবারে নেই বললেই চলে। যা আসছে সেখানেও সিট খালি নেই। এখন সময় মতো অফিসে পৌঁছানোই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে।
সড়কে গণপরিবহনের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি জানিয়ে ডিএমপির ট্রাফিক সার্জেন্ট সুমন মিয়া বলেন, সকাল থেকেই সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ কিছুটা বেশি। গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম। আর এই সময়টায় মানুষের চাপ বেশি থাকায় কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে যানজট নিয়ন্ত্রণ করার।
মঙ্গলবার (২২ জুন) থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকার পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুরসহ মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জে লকডাউন ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যার ফলে এসব এলাকার কোনো গণপরিবহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না।