বিরামপুর(দিনাজপুর)সংবাদদাতা: দিনাজপুরের বিরামপুরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্রমাগতভাবে সংক্রমনের হার বেড়েই চলেছে। বিরামপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত মে মাসে করোনার নুমনা সংগ্রহ হয় ৫৭ জনের। চলতি মাসে ৭৬ জন এবং ভারত থেকে পাসপোর্টধারী বাংলাদেশী যাত্রীরা বর্তমানে বিরামপুরের ৩টি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে ৬৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৩ জনের করোনা নমুনা পজেটিভ। গত দুই দিন আগে কাটলা দাউদপুর গ্রামের সুলতান সরকার (৩৫) জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শোভন বলেন- তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
অপর দিকে শুক্রবার বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার বলেন-তার বাসার নাইট গার্ড সেকেন্দার আলী (৩৮) গত কয়েকদিন থেকে জ্বর ও ডিসেন্ট্রিতে ভোগায় তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে সে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যায় বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই তিনি বিরামপুরবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ব্যবহার করার আহব্বান জানান।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার রায় জানান,বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জুলেখা বেগম, ডাঃ আলী হোসেন, নার্সের সুপারভাইজার মোর্শেদা খাতুন এবং মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট নাসিমা সুলতানা করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন। তিনি আরও বলেন- পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগী বিরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। তারপরেও রয়েছে করোনার প্রভাব ও নমুনা সংগ্রহ করণের কার্য্যক্রম। করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন অনেকে। আমরা বিশেষভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন বেড প্রস্তত রেখেছি। তিনি সকলকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার করার আহব্বান জানান।