বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে গেল ২৪ ঘন্টায় ১‘শ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছে চার জন। সংক্রমনের হার ৪৪ শতাংশ। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ১ হাজার ৯‘শ ৬২ জন। মারা গেছে ৫১ জন। সুস্থ্য হয়েছেন ১ হাজার ৪‘শ ৬২ এবং নিজ বাড়ি ও বিভিন্ন হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১‘শ ৬০ জন।
এদিকে সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগেরহাট জেলা করোনা মনিটরিং কমিটি জরুরীসভা করেছে। বুধবরা দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় সংক্রমনের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভায় এক সপ্তাহের কঠোর বিধি নিষেধ (লকডাউন) জারি করা হয়। পাশাপাশি জেলার সকলকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সভা শেষে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এর আগে হঠাৎ করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৩০ মে থেকে মোংলাপোর্ট পৌরসভা এলাকা জুড়ে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে উপজেলা প্রশাসন। ৩০ মে থেকে ৮ জুন পর্যন্ত মোংলা করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪১ জনের। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন ২‘শ৫১ জন।
এদিকে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, সংক্রমন প্রতিরোধে বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ সব বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিতে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতন করতে মাইকিংসহ নানা কর্মযজ্ঞ চলছে। এছাড়াও জেলাবাসীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালসহ সব চিকিৎসালয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান বলেন, গত ১৫ দিন ধরে বাগেরহাট জেলায় করোনা সংক্রমনের হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে মোংলা পোর্ট পৌরসভায় সংক্রমনের হার সব থেকে বেশি। যার ফলে সংক্রমনের হার কমাতে বৃহস্পতিবার ( ১০ জুন) সকাল ৬টা থেকে আগামী ১৬ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত মোংলা পোর্ট পৌরসভায় কঠোর বিধি নিষেধ আরোফ করা হয়েছে।
এই সময়ে ওই এলাকায় সকল ধরণের গনপরিবহন, শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরা, খেয়াপাড়াপাড় বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র খাবার হোটেল থেকে পার্সেল নিতে পারবেন জরুরী প্রয়োজনে। কঠোর বিধি নিষেধ প্রতিপালন ও স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে পুলিশ, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি কোস্টগার্ড মাঠে থাকবে বলে জানান জেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা।