খবর৭১ঃ চারিদিকে করোনা সংক্রমণ আর প্রচণ্ড গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। অতিরিক্ত গরমে ঘামের কারণে পানিশূন্যতায়ও ভুগছেন। এই সময়ে বিশেষজ্ঞরা পানীয় খাবারের প্রতি নির্ভর করতে বলছেন। গরমে এমন খাবারই খাওয়া উচিত যাতে পর্যাপ্ত পানি আছে। সেই সঙ্গে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রয়োজনীয় প্রোটিন রাখা উচিত, গরম বলে না খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে, তা বলে গরম বলে খাবার না খেয়ে এড়িয়ে যাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত খারাপ কিন্তু কী খাবেন তা আপনার উপরই নির্ভর। বেশ কিছু খাবার নিয়মিত খেতে হবে, যেগুলো গরমের সময় শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রতিদিন অন্তত্য ৩ লিটার করে পানি খেতে হবে। নিজের পছন্দের সরবত খেতে পারেন। চা ও কফি পরিমাণের বেশি খাবেন না, ফলের রস, জুস জাতীয় খাবার খান।
নাশতায় দই-চিঁড়া, আম-চিঁড়া, ছাতু, রুটি, পাউরুটির মতো হাল্কা খাবার খান। ভাতের সঙ্গে প্রচুর শাকসবজি, ছোট-বড় মাছের হালকা রান্না করা খাবার খান তাতে শরীর সুস্থ থাকবে।
প্রচুর পরিমাণ ফল খান, তরমুজ, আম, কাঁঠাল, শসা, কলা, লিচু, জামরুলের মতো ফল খান তাতে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে। রাতে খাওয়ার সময় অল্প পরিমাণে হাল্কা রান্না করা খাবার খান।
রাস্তায় বানানো জুস খাওয়া যাবেনা, বিশেষ করে রাস্তা ঘাটে কাটা ফল, ফলের জুস যতটা সম্ভব কম খাওয়াই স্বাস্থ্যকর।
তাজা শাক-সবজি, ফল বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত আর প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বাদাম জাতীয় খাবার রাখা প্রয়োজন।
গরমে তেলের ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন, মিষ্টি জাতীয় খাবার বা চিনি না খেয়ে মধু খেতে পারেন। গরমে অবশ্যই কার্বোহাউড্রেড জাতীয় খাবার কমিয়ে খাওয়া উচিত কারণ কার্বো হাইড্রেড শরীরে গিয়ে শর্করায় রুপান্তরিত হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত মশলা ও তেল অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে। ভাজা পোড়া খাবার গ্রীষ্মে একেবারেই না খাওয়া উচিত। পাতলা ঝোলের তরকারি গরমে অনেক উপকারি। কাঁকড়া ও চিংড়ি শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় তাই গরমে এগুলো এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। ধূমপান ও অ্যালকোহল এ সময়ে এড়িয়ে চলা উচিত।