খবর৭১ঃ করোনা মহামারিতে বেশিরভাগ শিশু ঘরবন্দি সময় কাটাচ্ছে। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ সময়ে শিশুর পা বাঁকা রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ব্যাপারে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাঈমা সুলতানা বলেন, আমরা হাসপাতাল ও চেম্বারে এখন খুব বেশি এ সমস্যাটির মুখোমুখি হচ্ছি। পা বাঁকার মূল কারণকে আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানে রিকেটস বলে থাকি। আসলে রোগটি থেকে শিশুকে সুরক্ষা দিতে হলে সবার আগে রিকেটস কেন হয়, তা জানতে হবে।
যে কারণে বাড়ছে পা বাঁকার হার
এ বিষয়ে ডা. নাঈমা সুলতানা বলেন, রিকেটস হয় মূলত ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এই সময়েই কেন শিশুদের পা বাঁকার হার বাড়ছে। এই সময়ে রিকেটস বাড়ার কারণ হলো, করোনা মহামারির কারণে বেশিরভাগ শিশু গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ভিটামিন ‘ডি’র মূল উৎস সূর্যের আলো পাচ্ছে। এর সাথে ক্যালসিয়ামের অভাবেও রিকেটস বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, আপনি খাবার অথবা কৃত্রিমভাবে যেসব ভিটামিন ‘ডি’ শিশুর শরীরে সরবরাহের চেষ্টা করবেন, তার চেয়ে বেশি কার্যকর সরাসরি বাচ্চাকে সূর্যের আলোতে রাখার ব্যবস্থা করা গেলে। কারণ, ভিটামিন ‘ডি’র মূল উৎস সূর্যের আলো। এক্ষেত্রে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ১৫-৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে শিশুকে খেলতে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে এ সময় বাচ্চার শরীরে একেবারেই না দিলে নয়, এমন পোশাক রাখতে হবে। বেশি জামা-কাপড়ে ঢাকা থাকলে, সরাসরি বাচ্চার ওপর সূর্যের আলো পড়েব না, ভিটামিন ‘ডি’ও তৈরি হবে না।
ডা. নাঈমা সুলতানা মনে করেন, এখন সূর্যের আলো শিশুর ত্বকে সরাসরি লাগতে না দেওয়ার ফলে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর ফলে পা বাঁকা রোগের নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এমন উপসর্গ দেখা গেলে দেরি না করে, তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ শিশু বিশেষজ্ঞকে দেখাতে হবে।