খবর৭১ঃ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত ও অনুসন্ধান কাজে দুর্নীতি দমন কমিশন আরও তৎপর হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তদন্তকাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার বিকালে দুদক প্রধান কার্যালয়ে নতুন কমিশনের দ্বিতীয় সভা শেষে সচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তদন্ত ও অনুসন্ধানকে আরও গভীরভাবে মনিটরিং করা হবে জানিয়ে দুদক সচিব বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় এই তদন্ত ও অনুসন্ধান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করার কথা থাকলেও তা পার হয়ে যায়। এটাকে কঠোর মনিটরিংয়ের মধ্যে আনা হবে, যাতে সময়মত সবকিছু শেষ করা যায়। এছাড়া কোনো তদন্তে গাফলতি আছে মনে হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া হবে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।’
আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘কমিশনের তদন্তাধীন বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া আমাদের ২৬টা এজেন্ডা ছিল, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা দুদকের এই বছরের তৃতীয় সভা, আর এই কমিশনের দ্বিতীয় সভা।’
হেফাজতে ইসলামের গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীর সম্পদের খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এটা কতদূর এগিয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুদক তার নিজস্ব স্টাইলে চলে। অন্য অর্গানাইজেশন তাদের সিস্টেমে কাজ করে। দুদক কাজ করবে তার স্বাভাবিক পদ্ধতিতে।’
হেফাজতের নেতাকর্মীদের ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে, সেগুলো নিয়ে দুদক কাজ করবে কি না এমন প্রশ্নে দুদক সচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন তাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। তার জবাব এলে পর্যালোচনা করেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দুদকের কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে গঠিত কমিটির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কাজে যেন স্বচ্ছতা থাকে এবং যে কাজগুলো হয়েছে সেগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ব্যাপারে জোর দেয়া হবে। এই বিষয়ে রিপোর্ট আমরা পাইনি। করোনাকালে সময় বেশি লাগবে। সময় তো শেষ হয়ে যায়নি। নির্দিষ্ট সময়ে রিপোর্ট পাবো বলে আশা করি। সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে কথা বলেই একটা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হবে।’
সচিব বলেন, ‘দুদকের কর্মকর্তাদের অভিযোগের ব্যাপারে অভ্যন্তরীণ একটি কমিটি কাজ করে। বিষয়টা হচ্ছে স্টেক হোল্ডাদের সঙ্গে পরামর্শ করা কোন কোন জায়গায় আমাদের সমস্যা আছে সেগুলো বের করা। এগুলো আইডেন্টিফাই করে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।’