‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নিয়ে দেশে সতর্ক বাংলাদেশ

0
259

খবর ৭১: সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ যেন কোনোভাবেই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সতর্ক নজর রাখছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ইতোমধ্যে জেলায় জেলায় এ রোগ সম্পর্কে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দেয়া হবে।

রোববার (২৩ মে) করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি এবং সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত বিপুল সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও এ রোগটিকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি, জনস্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব নিয়ন্ত্রণ জাতীয় কমিটি এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি একটি সুপারিশ দেবে। অন্যান্য সবার সুপারিশ ও পরামর্শে চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন প্রণীত হবে।

অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম জানান, দেশে এ পর্যন্ত করোনার ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত নয়জন রোগী পাওয়া গেছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ চলছে। ফলাফল পাওয়া গেলে এ সংখ্যাটি বেড়ে যাবে। করোনার ভারতীয় ধরনের সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি। দেশে করোনা প্রতিরোধে যেসব প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে, তা মেনে চললেই এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ভারতে একদিকে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস অন্যদিকে এখন নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মিউকরমাইসিসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। মে মাসের প্রথমদিকে ভারতের চিকিৎসকরা এ ব্যাপারে সতর্ক করা শুরু করেন।

ভারতে এখন পর্যন্ত যারা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে দেখা গেছে, অধিকাংশই হয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বা কিছুদিন আগে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। মূলত সুস্থ হয়ে ওঠার পরও অনেকের ইমিউন সিস্টেম অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমন লোকজনই নতুন এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া এ রোগে আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন ডায়াবেটিসের রোগীরাও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here