খবর ৭১: করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে লকডাউন বাড়লেও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে এ সময় চলাচল করতে পারবে সবধরনের গণপরিবহন। সোমবার (২৪ মে) চলবে ট্রেনও।
এ প্রসঙ্গে রোববার (২৩ মে) রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। তবে শুরুতে ২৮ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এরপর ধীরে ধীরে পরিধি বাড়ানো হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনার কারণে এক আসন ফাঁকা রেখে টিকিট বিক্রি করা হবে। ৫০% শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে। তবে কাউন্টারে কোনো টিকিট পাওয়া যাবে না। সব টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে।
এদিকে ট্রেন চলাচলের ঘোষণা আসার পর যাত্রী পরিবহনে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সরকারি নির্দেশনা আসা মাত্রই রেলওয়ে ট্রেনে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। তার আগে রেলপথের বিভিন্ন সেকশনে যাত্রীবাহী ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে (ট্রায়াল রান) পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিচালন) শাহাদাত আলী সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিধিনিষেধ জারির পর গত ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে যে কোনো সময় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার জন্য। এরই অংশ হিসেবে ট্রেনগুলোর ট্রায়াল রান করা হচ্ছে নিয়মিত। নির্দেশনা পেলেই আমরা ট্রেনে যাত্রী পরিবহন শুরু করব। সোমবার থেকে চালাতে বললে আমরা চালাতে পারব।
এর আগে রোববার বেলা ১২টার দিকে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও ৭ দিন বাড়িয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ২৪ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ান হয়েছে। তবে এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ এবং ট্রেনসহ সবধরনের গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। একইসঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁয় আসন সংখ্যার অর্ধেক মানুষ বসে খেতেও পারবে।