খবর৭১ঃ প্রিন্সেস ডায়ানার বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম জানিয়েছেন, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতারণাপূর্ণ সাক্ষাৎকারের কারণে তার বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিলো।
১৯৯৫ সালে ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়ানা বিবিসি প্যানারোমাকে একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দেন। সাংবাদিক মার্টিন বশিরকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে দাম্পত্যে ভাঙনের কথা প্রথম স্বীকার করেছিলেন।
সম্প্রতি এক তদন্তে দেখা গেছে, ১৯৯৫ সালে ডায়নার এক সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলো বিবিসি। এর প্রতিক্রিয়ায় ডায়ানার ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম বলেছেন, সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো তার মা কখনওই জানতে পারেননি তিনি প্রতারিত হয়েছিলেন। পৃথক এক বিবৃতিতে ডায়ানার ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, তার মা শোষণের সংস্কৃতি এবং অন্যায় চর্চার প্রভাবের শিকার হয়েছিলেন। একই ধরণের চর্চা আজও চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ডায়ানার ভাই চার্লস পেন্সার গত বছর নভেম্বরে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেন সাক্ষাৎকারটি নিতে অনৈতিক পথ ধরেছিলেন সাংবাদিক। এরপরই বিবিসি সাবেক বিচারক লর্ড ডাইসনকে প্রধান করে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে।
বৃহস্পতিবার ডাইসনের তদন্ত প্রতিবেদনে উপসংহার টেনে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য সাংবাদিক বশির জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন এবং বিবিসি’র ম্যানেজারদের কাছে পরে এ নিয়ে মিথ্যা বলেছিলেন। বিবিসি বলেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে ‘ব্যর্থতার আলামত স্পষ্ট হয়েছে। আমরা এজন্য অত্যন্ত দুঃখিত।’ সাংবাদিক বশিরও জাল নথি ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর ডায়ানার ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, তার মা কেবলমাত্র এক খারাপ সাংবাদিকের কারণে ব্যর্থ হননি, বিবিসির বসরাও এজন্য দায়ী। ১৯৯৭ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যুর জন্য বিষাক্ত সংস্কৃতিকে দায়ী করেন তার আরেক ছেলে প্রিন্স হ্যারি। তিনি বলেন, ‘আমাদের মা এই সংস্কৃতির কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন, আর আজও কিছু বদলায়নি। তার উত্তরাধিকার সুরক্ষার মাধ্যমে আমরা সবাইকে রক্ষা করি আর তিনি যে মর্যাদার জীবন যাপন করে গেছেন তা সমুন্নত রাখি।’
প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি ছাড়াও প্রিন্স অব ওয়েলস এবং ডায়ানার ভাই চার্লস স্পেন্সারকে চিঠি দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে বিবিসি।