ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় আইসিইউ স্থাপনের দাবি জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষকরা। শুক্রবার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ ফয়সালের মাগফিরাত কামনায় অনলাইন দোয়া মাহফিলে এ দাবি জানান শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ দোয়ার আয়োজন করে।
শিক্ষকদের দাবি, কুষ্টিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহর। শহরের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় থাকা সত্বেও এখানে একটিও আইসিইউ বেড নেই বিষয়টি হতাশাজনক। এসময় তারা কুষ্টিয়ায় আইসিইউ স্থাপনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত মঙ্গলবার (৪ মে) প্রফেসর ড. ফয়সালকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে গত বুধবার (৫ মে) তার অক্সিজেন সেচুরেশন অনেকাংশে কমে আসে। ফলে আইসিইউতে নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। এসময় অবস্থা গুরুতর হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা ড. ফয়সালকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই শিক্ষকের ছেলে ফাহিম ফয়সাল।
অনুষ্ঠানে মরহুম শিক্ষকের ছেলে কুষ্টিয়ায় আইসিইউ স্থাপনের দাবি করে বলেন, ‘কুষ্টিয়ার মত জেলা শহরে একটিও আইসিইউ বেড নেই। আমি একাই দৌড়াঝাপ করেছি। ডাক্তাররাও তেমন একটা এগিয়ে আসেনি। আমার বাবা হারিয়েছে তার যন্ত্রণা আমি বুঝি। আর কারো বাবা যেন চিকিৎসার অবহেলায় মারা না যান।’
এসময় সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। মোনাজাত পরিচালনা করেন থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সোলায়মান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি বলেন, ‘প্রফেসর ড. ফয়সাল একজন পরিশীলিত, নিবেদিত, আলোকিত শিক্ষক হিসেবে সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তিনি উন্নত স্বভাব চরিত্রের অধিকারী ভালো মানুষ ছিলেন। উনি জান্নাতবাসী হোন, এই প্রার্থনা করি।’
অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান, বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় সভাপতিরাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ ফয়সালসহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মৃত্যুবরণকারী সকলের রূহের মাগফিরাত এবং করোনা মহামারি থেকে মুক্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।