সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেড় বিঘা জমির একটি ক্ষেতের সবগুলো পটল গাছই রাতে আধাঁরে কেটে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে শহরের গোলাহাট বধ্যভূমি সংলগ্ন একটি মাঠে ন্যাকারজনক ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় কৃষক কার্তিক চন্দ্র রায় সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা কৃষক শ্রী কার্তিক চন্দ্র রায়। তিনি তাঁর বাড়ি সংলগ্ন বধ্যভূমির পাশে নিজের দেড় বিঘা জমিতে পটল চাষ করেছেন। এ পটল ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে আরো রয়েছে বেগুন, মরিচ, করলা। এ ক্ষেতে তাঁর কয়েক হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে ইতোমধ্যে। তাঁর প্রতিদিনের নিবিড় পরিচর্যায় ক্ষেতে পটল আসা শুরু হয়েছে। এদিকে, কৃষক কার্তিক রায় তাঁর ওই ক্ষেত থেকে পটল তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করছেন বেশ কয়েক দিন ধরে। তিন-চার পর পর ক্ষেতের পটল তুলে বাজারে বিক্রি করে আসছিলেন তিনি। এতে ক্ষেতে পটল লাগানো খরচ উঠে আসছিল। সেই সঙ্গে পটল বিক্রি করে দৈনন্দিন সংসারের ব্যয়ভারও মেটাছিলেন তিনি।
এর মধ্যে গত শুক্রবার রাতে তাঁর সর্বনাশ ঘটে। কে বা কারা রাতের আঁধারে ক্ষেতের সবগুলো পটল গাছের গোঁড়া কেটে দিয়েছে। সকালে কৃষক কার্তিক চন্দ্র রায়ের বড় ছেলে বিপু রায় ক্ষেতের পটল তুলতে আসেন। এ সময় তিনি দেখতে পান ক্ষেতের সবগুলো পটল গাছের গোঁড়া কাটা। তৎক্ষণাৎ তিনি ঘটনাটি তাঁর বাবা কার্তিক চন্দ্রকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে কৃষক কার্তিক রায় পটল ক্ষেতে এসে ঘটনাটি দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় “আমার পটল গাছ না কেটে যদি আমাকেই কেটে ফেলতো তাও ভাল হতো ” এই বলে তিনি বিলাপ করতে থাকেন।
কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, পটল ক্ষেতে দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে আমার। দিনের পর দিন ক্ষেতের পরিচর্যা করে আসছি। আজ আমার এতো বড় সর্বনাশ করল কে ? সৃষ্টিকর্তা তাঁর উপযুক্ত বিচার করবে ?
তিনি জানান, তাঁর প্রতিপক্ষরা পূর্ব শক্রতার জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। মূলত তারা আমার সঙ্গে পেরে উঠতে না পেয়ে ক্ষেতের পটল গাছের গোঁড়া কেটে দিয়েছে।