ইবি প্রতিনিধি: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখক সত্ত্বা নিয়ে ‘লেখক বঙ্গবন্ধু’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির লেখক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন। অসমাপ্ত আত্মজীবনী (২০১২), কারাগারের রোজনামচা (২০১৭) , আমার দেখা নয়াচীন (২০২০) ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকার বিষয়ক গ্রন্থ এবং ভাষণসমগ্র বইটির আলোচ্য বিষয়।
কথাপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। অনলাইনে রকমারি.কমে বইটি পাওয়া য়াচ্ছে।
‘লেখক বঙ্গবন্ধু’ বইয়ের লেখক অধ্যাপক রবিউল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক নেতা ও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আমাদের আছে পরিচিত। তার দর্শন ও রাষ্ট্রচিন্তা বহুভোবে চর্চিত। তবে লেখক বঙ্গবন্ধু আমাদের কাছে একেবারেই নতুন। ২০১২ সালের আগে আমরা তার লেখক সত্ত্বার সঙ্গে পরিচিত ছিলাম না। অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা বইয়ে বঙ্গবন্ধু তার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। এ দুটি বইয়ে তৎকালীন সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি ও রাজিনীতি নিয়ে তিনি যেমন লিখেছেন তেমনি ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুরও নানা দিক আমরা জানতে পেরেছি। আর আমার দেখে নয়া চীন গ্রন্থটি একটি ভ্রমণ কাহিনী। এখানে বঙ্গবন্ধু চীন ভ্রমণের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেছেন। এসবই ‘লেখক বঙ্গবন্ধু’ বইয়ে আলোচিত হয়েছে। বইটি বঙ্গবন্ধু গবেষক ও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উন্নয়নে সহযোগী হবে।’
রবিউল হোসেন আরও বলেন, ‘লেখক বঙ্গবন্ধু শীর্ষক গ্রন্থটিতে লেখক, কথক, রাজনীতিক ও বাগ্মী-শিল্পী বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আমার স্বতন্ত্র ভাবনা প্রকাশ হয়েছে। পাঠকবৃন্দ বর্তমান গ্রন্থটি পাঠে এক নতুন বঙ্গবন্ধুকে উপলব্ধি করবেন।’
রবিউল হোসেন ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে স্নাতকে ভর্তি হন। পরে ২০০০ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০০৫ সালে বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি একই বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
অধ্যাপক রবিউলের প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ হলো, সমকাল পত্রিকার সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকা, আরণ্যক ও অন্যান্য প্রবন্ধ, বাঙালির জাগরণ: বঙ্গীয় মুলমান সাহিত্য সমিতি, আবদুল হক: বুদ্ধির মুক্তির উত্তরাধিকার, সমকাল পত্রিকার সামাজিক ভূমিকা, ডাক ও খনার বচন (সংকলন), স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস, সেরা বঙ্গীয় মুসলামন সাহিত্য পত্রিকা (সংকলন)।
অধ্যাপক রবিউল হোসেন সাহিত্য চর্চা ও গবেষণা স্বীকৃতি হিসেব তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৩, মহাকবি মধুসূদন পদক ২০১৫ পেয়েছেন। এছাড়া ২০১৬ সালে নজরুল গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘অগ্নিবীণা’ স্মারক সম্মাননা পদক পেয়েছেন।