সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
বাড়ি সংলগ্ন চিকলি নদী। আর ওই নদীর উভয় পাড় রক্ষায় সারি সারি বসানো হয়েছে সিসি ব্লক। উদ্দেশ্য নদীর ভাঙ্গন থেকে নদীর পাড় এবং আশপাশের রাস্তা, আবাদি জমি ও আবাসিক এলাকা রক্ষা। গত ২/৩ বছর আগে চিকলী ব্রিজের উভয় পাশের বিস্তৃর্ণ অংশে পাড় রক্ষায় বসানো হয় এই সিসি ব্লক। আর এবার সেই সিসি ব্লক রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক বানানো হয়েছে। এটি করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের চিকলীবাজার সংলগ্ন আলাউদ্দিন পাড়ায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, উল্লিখিত এলাকার বাসিন্দা মো. রোস্তম আলী। রংপুর- সৈয়দপুর মহাসড়ক ঘেঁষে চিকলীবাজারে তাঁর রয়েছে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি রোস্তম আলী পাকা বাড়ি বানানোর কাজ শুরু করেন। এ সময় বাড়ির আঙিনায় একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি কাজের হাত দেন। তিনি চিকলী নদীর পাড়ের সিসি ব্লকগুলো এনে সেটি তৈরি করেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, রোস্তম আলীর মতো আরো কয়েকজন সিসি ব্লক তুলে এনে বাড়ি তৈরিতে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করছেন। তারা বলেন, বর্ষায় ভয়াল রূপ ধারণ করে চিকলী নদী। এ সময় নদীর পাড়ে ভাঙ্গন শুরু হলে সিসি ব্লকগুলো রক্ষা করে নদীর উভয় পাশের জনপদ।
রাতের আধারে এভাবে সিসি ব্লকগুলো নিয়ে গেলে আসন্ন বর্ষায় মারাত্মক হুমকিতে পড়বে নদী পাড়ের জনপদ। তারা এ ব্যাপারে পাউবোর কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়রাম্যান মো. রেজাউল করিম লোকমান বলেন, সিসি ব্লকচুরির বিষয়টি এলাকাবাসীর অভিযোগে জেনেছি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার জানান, এর আগে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে কিছুু ব্লক উদ্ধারর হয়েছে। বাড়ির মালিক তাঁর সেপটিক ট্যাঙ্কে ব্যবহার করা সিসি ব্লকগুলো নিজেই বের করে নদীতে ফেলেছেন। আরো কেউ সিসি ব্লক নিয়ে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করে থাকলে সে সবও উদ্ধার করা হবে।