খবর ৭১: আমার বাবা প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সম্পর্কে আমার এতো স্মৃতি কথা রয়েছে, যা লিখে শেষ করা যাবে না, তবুও কিছু স্মৃতি না লেখলেই নয়, তিনি আমার বাবাই ছিলেন না, আমার বন্ধুও ছিলেন। সব ব্যাপারে যখন আলাপ-আলোচনা করতাম, তিনিও করতেন। আমার বাবাকে ম্যাডাম যখন মহাসচিব পোস্টটা দিলেন, আমি বাবাকে বলেছিলাম তুমি এই পোস্টটা নিও না। বাবা শুনে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন- দেখ মা, এই কথা বলছো। আমি বললাম আমার দুই ভাইকে ওরা আটকিয়ে ফেলবে। বাবা বললেন- মা, ঘাবড়িও না, দলের এই দুর্দিনে আমাকে হাল ধরতে হবে, তা-না হলে দেশ এবং দলের অনেক ক্ষতি হবে। তুমি আল্লাহর উপর ভরসা রাখো। আল্লাহ আমার সন্তানদের দেখবেন। এই কথা শুনে আমিও সাহস পেলাম ও আব্বার জন্য নতুন পাঞ্জাবী কিনতে গেলাম। কারণ আমি চেয়েছি আব্বা মহাসচিব হওয়ার প্রথম দিন নতুন পাঞ্জাবী পরবেন এবং আমার দেয়া সেই পাঞ্জাবী পরে আব্বা শহীদ জিয়ার মাজারে গেলেন। আমিও তার সাথে ছিলাম। তারপর শুরু হলো সংগ্রাম। একের পর এক প্রেস ব্রিফিং। আব্বা শারীরিক দিক দিয়ে অসুস্থ হলে কি হবে, মনের দিক দিয়ে খুব শক্ত ছিলেন। মনেপড়ে ২০০৬ সালের কথা, আব্বা প্রায়ই বলতেন বুকে ব্যথা,কিন্তু এতো সিরিয়াসলি নিতেন না। কারণ তিনি খুব চাপা স্বভাবের ছিলেন । উনার জন্য কেউ কষ্ট করবে তিনি এটা চাইতেন না। কিন্তু আমি জোর করেই ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেলাম । ডাক্তাররা বোর্ড করে সিদ্ধান্ত জানালেন তাড়াতাড়ি দেশের বাইরে নিয়ে যেতে হবে। আমি ২০০৬ এর ২৯ জুলাই আব্বাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল হাসপাতালে গেলাম। ওখানে ডা. ওংপুসিং আব্বাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমাকে ও আব্বাকে জানালেন আব্বার বাম দিকের হাফ ফুসফুসে ক্যান্সার হয়েছে। খড়নপবঃড়সু করলে ঠিক হয়ে যাবে অর্থাৎ অর্ধেক ফুসফুস কেটে ফেলে দিতে হবে। ডা. বললেন ঘাবড়াবার কিছু নেই। অনেকেইে ১ টা ফুসফুস নিয়ে দিব্যি বেঁচে আছে। আব্বার প্রথমে মন খুব খারাপ হলো, কিন্তু পরে নিজেকে শান্ত করে সামলে নিয়েছেন। আমি বললাম , আব্বা এসেছি যখন চিকিৎসাটা নিয়েই দেশে ফিরি। আব্বা টাকা-পয়সার ব্যাপারে চিন্তা করবেন না। নিশ্চয়ই সরকার সাহায্য করবে এবং তা করেছে। পরে আমরা চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরি । এটা বলার কারণ এই যে, এতো বড় একটা অসুখ হলো, তারপরেও কিছু হলো না। (আব্বা তখন ৭০ বছর) মনের দিক দিয়ে খুব শক্ত ছিলেন আব্বা। অথচ ডা. রাশেদুল হাসান আমার আব্বার নিউমোনয়িা ধরতে পারলেন না। উনার তত্ত্বাবধানে আব্বা মর্ডাণ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। উনি ভূল ডায়গনোসিস করেছিলেন, উনি যদি সময় মতো সঠিক ডায়াগনোসিস করতে তাহলে হয়তো তাকে এতো তারাতাড়ি চলে যেতে হতোনা।
আমার ২০০৮ সালে জানুয়ারিতে বিয়ে হয়। স্বামীর কর্মস্থল অষ্ট্রেলিয়ায়। সুতরাং আমাকেও অষ্ট্রেলিয়াতে আসতে হলো। আমি চলে আসার পর আব্বা প্রায়ই বলতেন, “মা তুই আমার লাঠি ছিলি, এখন আমার লাঠিটি নেই”। আমি তো যতদিন ছিলাম আব্বাকে ছায়ার মতো আগলে রাখতাম।
আমার আব্বা খুবই সাধারণভাবে চলেছেন। আমাদের পুরানো ঢাকার আরমানিটোলায় বাসা। আমি একবার বললাম আব্বা তুমি নতুন ঢাকায় একটা বাড়ি নাও। কারণ তোমার এখান থেকে সংসদে যেতে এবং কাজকর্ম করতে কষ্ট হয় (যানজট প্রচুর আরমানিটোলায়)। আব্বা বললেন নিজের নামে একটা বাড়ি থাকলে আর করা যায় না। আমি বললাম সন্তানদের নামে নাও। সবাই তো সন্তানদের নামে নেয়। আব্বা বললেন, সন্তানরা যার যার মতো করে নেব। এই হলো আমার বাবা, নীতির প্রশ্নে কখনো আপস করবেন না। সে যেই হোক আমার সাথে আব্বার প্রায় প্রতিদিন কথা হতো। হঠাৎ আমার বড় ছেলে উজায়ের গরম স্যুপে বুক পুড়ে যাওয়ায় ওই সময় ঠিকমতো কথা হয়নি। উইজায়ের পোড়ার কথা শুনে আব্বার যে কতটা কষ্ট পেয়েছিলেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। মনে হয় আব্বাই পুড়ে গেছেন।
২২ ফেব্রুয়ারী ২০১১ তে আব্বুকে ফোন করলাম, আব্বা আমার কাছে কাছেই ছিলেন। আমি বললাম- আব্বা কি হয়েছে? আব্বা বললো আমি মনে হয় বাঁচবো না আমি দশদিন ধরে কফ এবং বেশ অসুস্থ। কিন্তু উনি কাউকে বুঝতে দিতেন না। আমি বললাম আব্বা চিকিৎসা নাও। তাড়াতাড়ি শক্ত থাকতে সিংঙ্গাপুরে যাও কারণ অন্য কোন সমস্যা হয়েছে কিনা দেখতে হবে। এখানে তোমার ডায়াগনোসিস করতে পারবেনা। আব্বা শুধু বললেন দেখি। আব্বা দিব্বি এই শরীর নিয়ে দলীয় সব প্রোগ্রাম করেছেন।
আব্বার সবকিছু মনে থাকতো। উজায়ের ২য় জন্মদিন ছিলো ১লা মার্চ ২০১১। আব্বার শরীর তখন খুব খারাপ। আব্বা ঠিকই ১লা মার্চ ফোন করলেন উজায়েরকে ডরংয করতে। উজায়ের ঘুমিয়ে ছিলো, করণ পোড়ার জন্য ডা. মরফিন দিয়েছিল। পরেরদিন অর্থাৎ ২ মার্চ ফোন করলেন এবং উজায়ের এবং আমার সাথে শেষ কথা হলো । আমাকে বললেন- মা আমার খুব খারাপ লাগছে, আমি তোমার সাথে পরে কথা বলবো। আমার ভাইকে দেখে রেখো। এটাই আমার সাথে আব্বার শেষ কথা। কে জানতো এটাই আমার সাথে বাবার শেষ কথা হবে।
আরো কিছু কথা না বললেই নয়, আমার বাবাই প্রথম দু’নেত্রীকে মাইনাস করা যাবে না বলেছেন। কারণ সেই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলেছিল দু’নেত্রীকে মাইনাস করতে। আমার বাবা ৫২ এর ভাষা আন্দোলন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন (কমান্ডার) ভাষার জন্য ২১ শে পদক পর্যন্ত পেয়েছেন। একটা মানুষের এতো গুন চিন্তাই করা যায় না। আর ছিলেন চরম ধৈর্য্যশীল।
যেটা খুব কম মানুষের মধ্যে আছে। একবার আব্বার সাথে অসুস্থ্য মাজেদুল হক চাচাকে (মেজর জেনারেল (অব:) মাজেদুল হক) ল্যাব এইড হসপিটালে দেখতে গেলাম। উনি আব্বাকে বলেই ফেললেন দেলোয়ার আমি যদি ২য় বার জন্ম নিতাম আল্লাহকে বলতাম ২য় দেলোয়ার হোসেন হয়ে আমাকে বানাও। কারণ তোমার মতো ধৈর্য্যশীল মানুষ আমি দেখিনি। আমার যে তখন কি গর্ব লাগছিল। আমি কলেজ থেকে প্রায়ই আব্বার অফিসে যেতাম। কারণ দুপুরে আব্বা সময় মতো খেতেন না, আমি যেয়ে আব্বাকে খাওয়াতাম। কারণ লোকজনকে বসিয়ে আব্বা খেতে চাইতেন না, বলতেন ওদের কাজগুলো শেষ করে তারপর খাই, মা। ততক্ষণে ৪/৫ টা বেঁজে যেতো। আব্বার ডায়াবেটিস ছিলো সময়মতো না খেলে সমস্যা ।
আমার বাবা মানুষ হিসেবে খুব ভালো ছিলেন। তিনি বাবা হিসেবে,স্বামী হিসেবে,নেতা হিসেবে খুবই ভালো মানুষ ছিলেন,সবদিকে উনার দৃষ্টি ছিলো। আমার মাকেও বাবা আগলিয়ে রাখতেন। বাবা চলে যাওয়ার পর মা একদম একা হয়ে গিয়েছিলেন। ২০০৪ সালের কথা আব্বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। আব্বাকে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর কিন্তু ডাক্তাররা ধরতেই পারলেন না কি হয়েছে! আব্বাকে আমরা দেশের বাইরে নিয়ে যাব। টিকিট করা হয়ে গেছে। কিন্তু আব্বা কিছুতেই মাকে ছাড়া যাবেন না। কি আর করা মাকে নিয়ে গেলাম। ছোটবেলার কথা, আব্বা বলতেন কোর্টে যেদিন তিনি আমাকে সালাম দিয়ে যেতেন, সেদিন নাকি অনেক টাকা পেতেন ।
তারপর থেকে আমার নাম উনার মায়ের নামে রেখেছেন (আকতারা খাতুন) । আব্বা প্রতি শুক্রবার মানিকগঞ্জ-এ আমাদের গ্রামের বাড়ি পাঁচুরিয়া যেতেন। আমাকে না নিয়ে যেতেই চাইতেন না । আমিও যেতাম আব্বাকে সঙ্গ দিতে। মানুষ যে বয়সে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘোরে আমি ঘুরেছি আমার বাবার সাথে। কলেজে পড়া অবস্থায় কেউ কিছু বললে সাথে সাথে বাবাকে বলতাম, কোথাও যাওয়ার কথা বললে বলতাম, বাবাকে জিজ্ঞেস করতে হবে।
উল্লেখ্য বড় চাচার নামে ল’ কলেজটি আব্বা করেছেন। আমার আব্বা সব সময় বলতেন বড় চাচার জন্য এতো বড় হয়েছেন।
আমার বাবার খুব ইচ্ছে ছিলো ছোট বোনটার বিয়ে দিয়ে যাওয়ার। বলতো আমি আমার দু’ মেয়ের জামাইকে নিজে বাজার করে আমার পাশে বসিয়ে খাওয়াবো। আল্লাহ সেই সময়টুকু দিলেন না। ছোট মেয়েকে বিয়ে দিয়ে যেতে পারলেন না। আব্বা নিজের জন্য কিছু করতে চাইতেন না। আমি একবার বললাম আব্বা তোমার নামে একটা কলেজ করতে চাই। আব্বা রাগ করে বললেন কলেজ করবে জায়গা কোথায়! আমি বললাম আমাদের যে মানিকগঞ্জ ল’ কলেজ আছে (বড় চাচার নামে) সেই কলেজ আমারা ভাড়া নেই। তারপর আমার উদ্যোগে সকলের ইচ্ছায় কলেজ হলো আব্বার নামে ফলাফল ভালো করেছে। হলে কি হবে কলেজটি এখনো এম.পিওভূক্ত হয়নি।
আব্বা দেশের জন্য মানুষের জন্য অনেক করেছেন, আমার ইচ্ছে ছিলো আব্বা বেঁচে থাকতেই আব্বার নামে মানিকগঞ্জের সড়কের নামকরণ করতে (বাসষ্ট্যান্ড থেকে আমাদের সেওতা বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত) যেখান থেকে আব্বা রাজনীতি করেছেন। আব্বার আত্ন-জিবনী বের করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আব্বা সময় দেয়নি। আমার সাথে আব্বার ২০১০ সালে উজায়ের বয়স ১ বৎসর ৬ মাস সেই শেষ দেখা এবং ঈদের দুদিন আগে অষ্ট্রেলিয়ায় আমার সাথে কথা, আব্বা বললেন, মা ঈদটা করে যাও, আমার সাথে ঈদ নাও করতে পারো। সত্যিই তাই হলো ২০১০ সালে শেষ ঈদ হলো (রোজার) ।
আব্বা আমার হাতে রান্না করা কোরমা খুব পছন্দ করতেন। আমি ঈদের সব রান্না করলাম আব্বার জন্য । আমার আব্বা অসুস্থ্যের সময় নাকি বলেছেন, আল্লাহ তুমি আমাকে তারাতাড়ি সুস্থ্য কর, আমি আমার উজায়ের ভাইয়ের কাছে যাবো। কিন্তু আব্বার সেই ইচ্ছে পূরণ হলো না। আমার ইচ্ছে ছিলো আমার সংসার তো আব্বা দেখেনি। আমি এখন কতো কিছু রান্না করতে শিখেছি। কিন্তু আব্বাকে খাওয়াতে পারলাম না। আব্বাকে নতুনত্ত্ব কিছু রান্না করে দিলে খুব মজা পাবেন খেতে। আমার সারা জীবন এই আফসোস থাকবে।
আমার বাবা খুব সাধারণ জীবন-যাপন করতেন। আব্বা বলতেন মানুষের দুঃখের দিনে পাশে দাড়াবে, সুখের দিনে নয়। আমার বাবা কতো বড় মাপের মানুষ ছিনে, চিন্তুাই করা যায় না।
আব্বা যেদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন, আমার কান্না দেখে উজায়ের বললো আম্মু কান্না করো কেন? আমি বললাম- নানা ভাই ব্যথা পেয়েছেন, তাই আল্লাহ নিয়ে গেছে। ও আমাকে বললো আম্মু নানা ভাইতো পেনে আছে কান্না করো না। এখনো কান্না করলে বলে প্লেনে ………… আম্মু । (কারণ আমি বলেছিলাম নান ভাই প্লেনে করে এখানে আসবে)। তাই ওর ধারণা নানা ভাই এখনো প্লেনে আছে। আব্বা মারা যাবার পর যখন দেশে গেলাম উজায়ের আব্বার রুমে নক করে বলে নানা ভাই দরজা খোলো, দরজা খোলো, ওতো আর জানে যে নানা ভাই যেখানে গেছেন, ওখানের দরজা আর কোনোদিন খুলবে না।
আমার ধারনাই ছিলো না। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে আব্বাকে ভূল চিকিৎসায় মেরে ফেলবে। কারণ আব্বা তো ভালো হয়ে গিয়েছিলেন। বিকেলে ট্রান্সফার করবে বলেছে কিন্তু ঐুঢ়ড় করে কিছু না খাইয়ে সব ড়ৎমধহ ভধরষঁৎব করে আব্বাকে মেরে ফেললো, নইলে রাতে ঐুঢ়ড় হয়েছে নার্স সকালে কি করে ওঈট দেখে যে তিনি মৃত?
আব্বার মৃত্যুর আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন আমাদের আর কেনো গার্জিয়ান নাই। আব্বা ছিলেন আমাদের বটগাছ। আব্বার জায়গা পূরণ হবার নয়। আমরা এবং দেশ একজন ভালো মানুষ হারালো । আব্বা আমার গান খুব পছন্দ করতেন। বলতেন- মা, তোমার গানের কন্ঠ এড়ফ মরভঃবফ। সুতরাং তুমি সঙ্গীত চর্চা ছেড়ো না। বাবা গাড়িতে উঠলে আমার গানের সিডি ছাড়া অন্য কারো গানের সিডি ছাড়তে দিতেন না।
একবার আমার বাবা সম্মেলন এর জন্য ভারত গিয়েছিলেন। সম্মেলন শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমার জন্য হারমোনিয়াম ও তানপুড়া কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছেন এবং এতো বড় তানপুড়াটা আমার বাবা নিজ হাতে ক্যারি করে, কারণ লাগেজে এ দিলে ভেঙ্গে যাবে ।
বাবাকে নিয়ে আমি একটি গান করেছি গানের ভিডিওতে বাবা ছিলেন আমার সাথে। গানের কথা “(হাজার দুঃখ শোকে হৃদয় যখন কাতর, হাত বুলিয়ে বাবা আমার মাথায় করে আদর……. তোমায় আমি একা করে)” । সেই বাবা আমাকে ছেড়ে আজ কতো দূরে । এ রকম আরো কতো স্মৃতি, এতো স্মৃতি যে লিখে শেষ করা যাবে না।
দেখতে দেখতে দশবছর চলে গেছে। ১৬ মার্চ ২০২১ তে আব্বার দশম মৃত্যুবার্ষিকী । তার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি এবং সকলের কাছে আব্বার জন্য দোয়া চাচ্ছি । মহান আল্লাহ তা’আলা তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন – আমিন।
ডাঃ আকতারা খাতুন লুনা
খোন্দকার দোলোয়ার হোসেনের জেষ্ঠ কন্যা
ভূতপূর্ব মেডিকেল অফিসার, বারডেম
(বর্তমানে অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী)