খবর৭১ঃ
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের গতি যেন কিছুতেই থামছে না। প্রতিদিনই মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ কোটি ৯১ লাখ ৯ হাজার ২০২ জন। মারা গেছেন ২৬ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৩ জন। এ মহামারি থেকে বিশ্বব্যাপী সুস্থ হয়েছেন ৯ কোটি ৪৭ লাখ ২২ হাজার ৪৩৫ জন।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যাও যুক্তরাষ্ট্রে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার ৯০২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৭ লাখ ৯৭ হাজার ২৯৮ জন।
করোনা শনাক্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৩ লাখ ৫ হাজার ৯৭৯ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩২৬ জনের। মৃত্যু বিবেচনায় দেশটি বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৫২ জন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১২ লাখ ৮৪ হাজার ২৬৯ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ১২৪ জনের। মৃত্যুর দিক থেকে দেশটি বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ব্রাজিলে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৬ জন।
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ লাখ ৬০ হাজার ৮২৩ জন। মারা গেছেন ৯০ হাজার ৭৩৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৩ জন।
আক্রান্ত বিবেচনায় পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪২ লাখ ৪১ হাজার ৬৭৭ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ১৬৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫৫ জন। তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন জনপদে শুধুই বিস্তৃত হচ্ছে করোনা। এরমধ্যে ধরনও বদলেছে ভাইরাসটি। যদিও ইতোমধ্যে এসে গেছে করোনার টিকা। তারপরও এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার যেন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।