খবর ৭১: দেশের ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৫০ শতাংশই জীবনে কখনো না কখনো সঙ্গীর হাতে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বিশ্বের ১৬১টি দেশ ও অঞ্চলে ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নারী নির্যাতনের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তাদের তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতি তিনজন নারীর একজন জীবদ্দশায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
স্বামী অথবা সঙ্গীর হাতে নারী নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ কিরিবাতিতে। দরিদ্র এ দেশে ৫৩ শতাংশ নারীই এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। এরপর রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আরও দুটি দ্বীপদেশ ফিজি (৫২ শতাংশ) ও পাপুয়া নিউগিনি (৫১ শতাংশ)। বাংলাদেশে ৫০ শতাংশ নারী নির্যাতনের শিকার হন। হারটি সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ক্ষেত্রেও একই।
বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের উচ্চ হারের জন্য মানসিকতার ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক। তিনি বলেন, দেশে পুরুষতন্ত্র এমন পর্যায়ে যে নারীরাও পুরুষ সঙ্গী ছাড়া নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এর ফলে সামাজিকভাবে নারীর চেয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল অবস্থানে থেকেও ওই পুরুষ নিজেকে শক্তিশালী ভাবতে শুরু করেন। পুরুষকে উঁচু করে তোলার ভাবনা তাঁকে বিভিন্ন অপকর্মেও উৎসাহিত করে।
এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রথমে পরিবার থেকেই পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক তানিয়া হক। তিনি বলেন, সামাজিক-পারিবারিক সমতা, সম- অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে তবেই নারীর ক্ষমতায়ন হবে এবং সহিংসতা কমবে।