বাগেরহাট প্রতিনিধি: শীতের শুরুতেই দেশি বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। বনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় করছেন। সুন্দরবনের করমজল ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র, হারবারিয়া, কোকিলমনি, কটকা, হিরন পয়েন্ট ও বঙ্গবন্ধুর চর পর্যটকদের পছন্দের জায়গা। পশুর নদী দিয়ে প্রতিদিন সারি সারি ট্যুরিস্ট বোট ও লঞ্চ আসতে দেখা যায় সুন্দরবনে। বিশেষ করে গত নভেম্বরের শুরু থেকেই করমজল এলাকায় পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি দর্শনার্থীরাও আসছেন নিয়মিত। সুন্দরবনকে একনজর দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় করছেন প্রচুর পর্যটক। করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন সুন্দরবনে প্রবেশে নিষাধাজ্ঞা থাকায় কেউই বনে আসতে পারেনি। এ কারণেই শীতের শুরুতে বনে দর্শনার্থীদের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে বলে জানান বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
সুন্দরবন থেকে ফিরে হাসান জুবায়ের বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন গৃহবন্দি ছিলাম। সুন্দরবন খুলে দেয়ার খবর পেয়ে পরিবার নিয়ে ছুটে এলাম এখানে। বনের সৌন্দর্য উপভোগ করার অনুভূতি সত্যিই অন্যরকম। দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ চলছে। তবুও ভ্রমণপিপাসুরা থেমে নেই। সব বাধা উপেক্ষা করেই তারা প্রিয় স্থানগুলোতে ঘুরছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরছেন দর্শনীয় স্থানগুলোতে।
সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, প্রতিদিন প্রচুর পর্যটক সুন্দরবনের মধ্যে প্রবেশ করছেন। প্রতিদিন ৪০-৫০টি বোট ও ল প্রবেশ করছে। বনে পর্যটকদের আগমন আগের তুলনায় বেড়েছে। সামরিক বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারাও তাদের পরিবার নিয়ে সুন্দরবন দেখতে আসছেন।
সুন্দরবনের করমজল পর্যটকদের মূল আকর্ষণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বনের মধ্যে প্রবেশ করলেই বানর ও হরিণ খুব কাছ থেকে দেখা যায়। অনেক সময় হরিণ মানুষের সন্নিকটে চলে আসে। সে কারণে মূলত মোংলা, বাগেরহাট ও খুলনা এলাকা দিয়ে সুন্দরবনের করমজলে বেশি প্রবেশ করেন পর্যটকরা। এ বছর ঢাকা, সিলেট, রংপুর ও দিনাজপুর থেকে অনেক পর্যটক এসেছেন। বন বিভাগের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।