খবর৭১ঃ গুলি-সংঘাতে অন্তত অর্ধশতাধিক নিহত হওয়ার মধ্যেও মিয়ানমারে জনতার বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার দিবাগত সারারাত অভিযানের পর রবিবার দেশটির ইয়াঙ্গুন মান্দালয়সহ বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভে রাস্তায় নামে লাখো জনতা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইয়াঙ্গুনে জান্তাবিরোধী আন্দোলনের নেতা ও কর্মীদের খোঁজে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মধ্যে রবিবার সকালে রাস্তায় লাখো প্রতিবাদকারী নেমে এসেছে। এদিন উত্তরাঞ্চলীয় শান প্রদেশের লাশিও শহরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুড়েছে। অন্যদিকে মন্দিরের শহর বলে পরিচিত বাগানে বিক্ষোভকারীদের গুলি ছুড়েছে পুলিশ। এছাড়া দেশটির আরও আধ ডজন শহরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে।
রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, গতকাল দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে সবচেয়ে বেশি লোক জমায়েত হয়েছে। এখানে আন্দোলনকারীরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহতদের স্মরণে দুই মিনিট নীরবতা পালন করার পর অবস্থান ধর্মঘট করেন।
গত বছরের নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তুলে গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির ক্ষমতার দখল নেয়। এদিন অং সান সু চিসহ তার দলের শীর্ষ নেতাদের আটক করে সামরিক জান্তা।
এর পর থেকে মিয়ানমারে প্রতিদিন জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ ও ধর্মঘট হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের দমনে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো এ পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সরকারি কর্মচারীদের অনেকেই ধর্মঘট পালন করায় অনেক দপ্তরে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স নামের একটি গোষ্ঠীর তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারে গত শনিবার পর্যন্ত এক হাজার সাতশ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জান্তা সরকার। এদের মধ্যে সু চির দল এনএলডির নেতাকর্মীসহ অনেক চিকিৎসক ও আইনজীবীও রয়েছে।