খবর৭১ঃ কারাগারে বন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর যে কয়টি তদন্ত কমিটি হয়েছিল সবগুলোর প্রতিবেদনেই তার স্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘মুশতাক আহমেদ গত বছরের ৬ মে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় কারাগারে অন্তরীণ হন। তিনি কারাগারে ইন্তেকাল করেন, সেটা আপনারা সবই শুনেছেন। প্রশ্ন আসছে তিনি কারাগারে কীভাবে মৃত্যুবরণ করলেন। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছিলাম। গাজীপুরের ডিসি, তিনিও একটি কমিটি করেছিলেন, আইজি প্রিজন তিনিও তাৎক্ষণিকভাবে একটি কমিটি করেছিলেন। সবগুলো কমিটির অভিমত একরকম।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ ও কারাগারে যারা তার সঙ্গে অন্তরীণ ছিলেন, তার রুমে যে কয়জন ছিলেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক যারা ছিলেন, হাসপাতালে যখন নিয়ে গেছেন- তাদের সবার অভিমত নিয়ে তারা যে রিপোর্টটি প্রদান করেছেন সেই রিপোর্টে বলেছেন, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যু মানে অস্বাভাবিক মৃত্যু নয়। সেটাই তারা তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা সবগুলো রিপোর্টেই এখন পর্যন্ত এইটুকুই পেয়েছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মুশতাক আহমেদ বাথরুমে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি অজ্ঞান হয়েছিলেন। তারপর তাকে কারাগারে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টেও মুশতাকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘খালেদার সাজা স্থগিতের আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে’
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো ও মওকুফ এবং শর্ত শিথিলের আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠাবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার দণ্ড দ্বিতীয় দফায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত রয়েছে। আগামী ২৪ মার্চ সেই স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোসহ কয়েকটি দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে খালেদা জিয়ার পরিবার।