রাব্বুল ইসলাম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামীলীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলায় ২৫ বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের ব্রম্মপুর গ্রামে এ ঘটনা। ভাঙচুরর সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকাটিতে। এলাকাবাসিরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মাহমুদুল হাসান মামুন ও গত ইউপি নির্বাচনের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার ব্রম্মপুর গ্রামের পিয়াজের মাঠে মামুন সমর্থক ও টিপু সমর্থকের উপর হামলার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে দেশী অস্ত্র নিয়ে একে অপরের বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুরর ঘটনা ঘটায়। হামলায় মিজানুরের দোকান, গোলাম রসুল, বসির সর্দ্দার, মোফাজ্জেল সর্দ্দার, চুকাসর্দ্দার, সবেদ খাঁ, সালেম সর্দ্দার, মালেক সর্দ্দার, রফিকুল ইসলাম, মতিয়ার সর্দ্দার, রবিউল ইসলাম, ও শামীম হোসেনের ২৫ বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান জানান, প্রতিপক্ষরা তার দোকানের ফ্রিজসহ মালামাল ভাঙচুর ও লুটপাট করে। শামীম হোসেন জানান, তার একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে প্রতিপক্ষরা। লাবনী আক্তার জানান তার ১০ ভরি স্বর্ণালংকার আলমারি ভেঙ্গে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকাটিতে পৌছে পিরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন বলে জানা যায়। শৈলকুপা থানারওসি (তদন্ত) মহসিন হোসেন জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলার ব্রম্মপুর গ্রামে একে অপরের বাঢ়িঘরে হামলা চালায় দু-দল গ্রামবাসি। তবে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ তিনি পাননি বলে জানান।