খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে সাত হাজার ৭৩৪ জনে।
একই সময়ে নতুন করে ৭৮৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ৬৯০ জনে। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৩৩ জন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ২৭৯ জনে।
শুক্রবার বিকালে করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬৮টি। আর দেশের মোট ১৮১টি ল্যাবে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩,৬৮১টি। এর মধ্যে ৭৮৫ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যেখানে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫.৭৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ৪৯১টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫.৬৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৪৯ শতাংশ।
এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করা ৭,৭৩৪ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৮৮০ জন পুরুষ ও ১,৮৫৪ জন নারী।
আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৮৩৩ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯.৩৬ শতাংশ।
মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্তের এক বছর পার হয়েছে গত ডিসেম্বরের শেষে। গত বছরের শেষের দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।