খবর৭১ঃ
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আবারও লকডাউনে ফিরছে বিশ্ব। নেদারল্যান্ডস-জার্মানিতে বুধবার থেকে নতুন লকডাউন কার্যকর হয়েছে।
প্রথমবারের মতো এমন ‘জরুরি অবস্থা’ জারি করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। এছাড়া বড়দিন উপলক্ষে ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে।
ফ্রান্সে সংক্রমণ ঠেকাতে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। বিশ্বে গেল ২৪ ঘণ্টায় আরও প্রায় ৬ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা সাত কোটি ৪০ লাখে পৌঁছেছে। একই সময়ে মারা গেছেন সাড়ে ১২ হাজার মানুষ। তাতে মোট মৃত্যু সাড়ে ১৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। খবর বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্সসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।
করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যায় প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে জার্মানিতে। বড়দিন উপলক্ষে তা আরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রাণহানি ও সংক্রমণের লাগাম টানতে তাই আগেভাগেই কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার। বুধবার থেকে দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো এই বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে।
এর আওতায় স্কুল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া বাকি সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ থাকবে। নতুন এই লকডাউন চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৩ হাজার ৭শ’ বেশি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় গেল ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২শ’র বেশি। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত পৌনে ৯ লাখ। মারা গেছেন ২৩ হাজারের বেশি। করোনার এই ঢেউকে ‘জরুরি অবস্থা’ বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বাড়তে থাকায় প্রথমবারের মতো লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জনগণকে এমন কঠোর স্বাস্থ্যবিধির হুশিয়ারি দিয়েছেন।
ফ্রান্সে সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা লকডাউন শিথিল করে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। কারফিউ অনুযায়ী রাত ৮টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত লোকজন বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না। বড়দিন উৎসবে এই কারফিউ কার্যকর থাকবে না, তবে নববর্ষের উৎসবে কার্যকর থাকবে। এছাড়া ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বার ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকার নির্দেশ জারি থাকবে।
মঙ্গলবার ফ্রান্সে করোনায় ৭৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৭২ জনে। এদিকে বড়দিন সামনে রেখে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিও।
এদিকে ভোটে জিতলে কর্মসংস্থান বাড়ানো হবে, বিনামূল্যে দেয়া হবে কোভিড টিকা। বিহার নির্বাচনের আগে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এবার সেই প্রতিশ্রুতির প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু করতে চলেছে নীতিশ সরকার।
গত মাসে দফতর বণ্টনের পর মঙ্গলবার প্রথম বৈঠকে বসে বিহারের রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভা। এতে সিদ্ধান্ত হয় বিনামূল্যে টিকা দেয়া হবে। শুধু তাই নয়, সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে ২০ লাখ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলেও ওই বৈঠকে প্রস্তাব পাস করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।