খবর৭১ঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে দেশ দুটির মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বিভিন্ন খাতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে এখনো কাজ করছেন।’ এর আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই বৈঠকে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই ভার্চুয়াল বৈঠককালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৬৫ সালের আগের পুরোনো চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলসংযোগটি দীর্ঘ ৫৫ বছর পর পুনরায় উদ্বোধন করা হবে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, এই বৈঠককালে ঢাকা পানি বণ্টন, কোভিড সহযোগিতা, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্য ঘাটতি, যোগাযোগ, বিদ্যুত্, রোহিঙ্গা-সংকটসহ প্রধান সব দ্বিপক্ষীয় ইস্যু তুলে ধরা হবে। আসন্ন বৈঠকে দুই দেশে প্রবহমান অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইঙ্গিত দেন। ঢাকা দুই দেশের মধ্যে বয়ে চলা প্রধান সাতটি নদ-নদী মনু, মুহুরী, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার, ফেনী ও তিস্তার পানি বণ্টনের ইস্যুকে একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার প্রস্তাব দেবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শিগিগরই, এমনকি যদি সম্ভব হয় আগামী মাসেই এই অভিন্ন সাত নদীর পানি বণ্টন ইস্যু সমাধানের লক্ষ্যে একটি কাঠামো গড়ে তুলতে মন্ত্রী পর্যায়ে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব রাখা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পটিও জেআরসি বৈঠকের অন্যতম এজেন্ডা হবে। ১০ বছর আগে ২০১০ সালে নয়াদিল্লিতে সর্বশেষ জেআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, চুক্তিটি অনেক আগেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। এমনকি ভারতের পক্ষ থেকে চুক্তির প্রতিটি পাতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে দিল্লি চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য বারংবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চূড়ান্ত চুক্তিটি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু বাস্তবায়নের অপেক্ষা।
চিলাহাটি রেল চলাচল উদ্বোধন করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী :ডোমার (নীলফামারী) সংবাদদাতা মো. মোজাফ্ফর আলী জানান, দীর্ঘ ৫৫ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ী রেলপথে পুনরায় ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই রেলপথ দিয়ে পুনরায় ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন। চিলাহাটি স্টেশন থেকে ৩২টি পণ্যবাহী বগি নিয়ে ভারতের হলদিবাড়ী স্টেশনের উদ্দেশে একটি ট্রেন প্রথম রওনা হবে। ইতিমধ্যে ট্রেন চলাচলের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।