বেনাপোল কাস্টম হাউসে ৫ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৯৯৯ কোটি ৯ লাখ টাকা

0
412
বেনাপোল কাস্টম হাউসে ৫ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৯৯৯ কোটি ৯ লাখ টাকা

খবর৭১ঃ

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল কাস্টম হাউসে চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরের ৫ মাসে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ৯৯৯ কোটি ৯ লাখ টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ১ হাজার ৫০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। গত মাসেই শুল্কফাঁকির অভিযোগে কাস্টমস কর্মকর্তারা ৮ টি সিএন্ডএফ লাইসেন্স বাতিল ও ৪ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। এছাড়া কাস্টমসের তিন রাজস্ব কর্মকর্তাকেও শুল্কফাঁকিতে সহযোগীতার অভিযোগে শাস্তিমুলক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে হাতে গোনা কয়েকজন ধরা পড়লেও অধিকাংশ দূনীতিবাজরা থাকছে ধরা ছোওয়ার বাইরে। ফলে, কোন ভাবে রোধ হচ্ছেনা শুল্কফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি। যেকারণে বছর শেষে আরো বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এর আগে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। বুধবার সকালে বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজস্ব ফাকির অভিযোগে বাতিল সিএন্ডএফ এজেন্টরা হলো, মেসাস রিমু এন্টার প্রাইজ, তালুকদার এন্টার প্রাইজ, এশিয়া এন্টার প্রাইজ, মাহিবি এন্টার প্রাইজ, সানি ইন্টার ন্যাশনাল, মদিনা এন্টার প্রাইজ, মুক্তি এন্টার প্রাইজ ও রিয়াংকা এন্টার প্রাইজ। বহিস্কৃত কাস্টমস কর্মকর্তারা হলো, রাজস্ব কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আশাদুল্লাহ ও ইবনে নোমান।

জানাযায়, গেল কয়েক বছর ধরে বেনাপোল বন্দরে ব্যাপক হারে মিথ্যা ঘোষনায় শুল্কফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কোনভাবে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছেনা। কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কৌশলে দিচ্ছে শুল্ক ফাঁকি। হাতে গোনা কয়েকজন ধরা পড়লেও অধিকাংশ দূনীতিবাজরা থাকছে ধরা ছোওয়ার বাইরে। যেকারণে কোন ভাবেই বেনাপোল বন্দরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছেনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here