খবর৭১ঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং কারিগরি সমস্যা দেখা না দিলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বসানো হতে পারে পদ্মা সেতুর ৩৭তম স্প্যান ‘২-সি’। সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ৯ ও ১০ নং পিয়ারে স্প্যানটি বসানো হবে। এতে দৃশ্যমান হতে চলেছে সেতুর পাঁচ হাজার ৫৫০ মিটার অংশ। অর্থাৎ সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারের কিছুটা বেশি অংশ। তবে কোনো জটিলতা দেখা দিলে একদিন পিছিয়ে ১৩ নভেম্বর শুক্রবার স্প্যানটি বসানো হবে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রকৌশলী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ই ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩৭তম স্প্যানটি নিয়ে নির্ধারিত পিয়ারে উদ্দেশে রওনা হবে। পরবর্তী প্রক্রিয়ায় কারিগরি সমস্যা না দেখা দিলে আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এদিনই স্প্যানটি বসিয়ে দেয়া হবে। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে শুক্রবার স্প্যানটি বসানো হবে।
এদিকে ৩৭তম স্প্যানটির পর আগামী ১৬ নভেম্বর ১ ও ২নং পিয়ারে ৩৮তম স্প্যান ‘১-এ’, ২৩ নভেম্বর ১০ ও ১১নং পিয়ারে ৩৯তম স্প্যান ‘২-ডি’, ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২নং পিয়ারে ৪০তম স্প্যান ‘২-ই’ ও ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারে ৪১তম স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ৩৬টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর পাঁচ হাজার ৪০০ মিটার অংশ। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সব কটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এই সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ২০২২ সালে যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে সেতুটি।