খবর৭১ঃ
খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের ল্যাবে রক্ষিত রাসায়নিক পদার্থকে মদ ভেবে পান করে দুই রংমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা মারা যান।
নিহতরা হলেন- নগরীর দৌলতপুরের পাবলা করিগরপাড়ার আবু তালেবের ছেলে পারভেজ বিশ্বাস (২৯) ও একই এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০)। এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ মোমরেজ বিশ্বাসের ছেলে শামীমকে (৩২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর সবাই খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের ল্যাব রুমে বৃহস্পতিবার রংমিস্ত্রির কাজ করেছিলেন।
নিহতদের স্বজনরা জানান, গত বৃহস্পতিবার পারভেজ, রফিকুল ও শামীম খুলনা মহিলা কলেজের ল্যাব ভবনে রংয়ের কাজ করেছে। এ সময় তারা ল্যাব রুমের একটি বোতলে রক্ষিত রাসায়নিক পদার্থকে মদ ভেবে বাসায় নিয়ে আসে। পরে রাতে পারভেজ, রফিকুল ও শামীম সেটা পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাত ১টার দিকে রফিকুল বাসায় মারা যায়। এছাড়া শুক্রবার ভোর চারটার দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারভেজের মৃত্যু হয়।
খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ টিএম জাকির হোসেন বলেন, আমাদের সাইন্স ভবনের কাজ পেয়েছেন দৌলতপুরের এক কন্ট্রাক্টর। ভবনের রিপিয়ারের কাজ হয়ে গেছে। ওরা বৃহস্পতিবার সাইন্স ল্যাবে রংয়ের কাজ করছিল। ওখানে কিছু বোতল ছিল। ওখান থেকে হয়তো তারা ভুলক্রমে মদ ভেবে একটা বোতল চুরি করে নিয়ে যেতে পারে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সৈয়দ মোশারেফ হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের ল্যাবে পারভেজ, রফিকুল ও শামীম রংমিস্ত্রির কাজ করেছিল। এ সময় তারা ল্যাবে রক্ষিত বোতলের রাসায়নিক পদার্থকে মদ ভেবে বাড়ি নিয়ে পান করেন। পরে অসুস্থ হয়ে পারভেজ ও রফিকুল বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায়। এছাড়া গুরুতর অসুস্থ শামীমকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত পারভেজ ও রফিকুল ইসলামের লাশ শুক্রবার খুমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।