খবর৭১ঃ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ২১ জন। এ ছাড়া করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৮৪২ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলো ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬ জন করোনা রোগী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৯১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮৮ জন।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৪টি পরীক্ষাগারে ১৫ হাজার ৪০টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৫ হাজার ২২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ চার হাজার ৯০২টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১০ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ১৯ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এ পর্যন্ত করোনায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৬৩৬ জন (৭৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ৩৮৬ জন (২৩ দশমিক ০২ শতাংশ)। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব দুজন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৪ জন। ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রামের একজন এবং রাজশাহী বিভাগের একজন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ কোভিড ১৯-কে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ লাখ ৩০ হাজার ৭৮৬ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২২ হাজার ১২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭১ হাজার ৪৮৩ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮২৯ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। বিশ্বের ক্ষমতাধর এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৮ লাখ ১ হাজার ৩৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।