খবর৭১ঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক কিশোরীকে (১৫) তিন তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাতে বন্দরের কেওঢালা বাগদোবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরী আহত হয়েছে। সে বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রোববার বিকালে কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তিনজন পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কেওঢালা বাগদোবাড়িয়া গ্রামে তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকেন কিশোরীর বড় বোন। গত ১৪ অক্টোবর বোনের বাসায় বেড়াতে আসে কিশোরী। এরপর থেকে ভবনের নিচের মুদি দোকানদার রুবেল (২৫) এবং অপর ভাড়াটিয়া অপু (২২) ওই কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে।
কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শনিবার রাত ২টার দিকে রুবেল ও অপু কিশোরীর মুখ চেপে ধরে ছাদে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় কিশোরীর পরনের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে তারা। পরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে তিনতলার ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় রুবেল ও অপু।
গভীর রাতে নারীকণ্ঠের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মদনপুর এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিশোরীর এক পা, এক হাতের হাড় ভাঙ্গা এবং মাথায় আঘাত থাকায় সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।