খবর৭১ঃ স্বাধীনতার পর প্রথম বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতিবঞ্চিত ৩৯ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে (বর্তমানে অবসর) সচিব পদমর্যাদাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রেজা-ই-রাব্বী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
রায়ে বলা হয়েছে, ১৯৯৮ সালের ‘উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি/নিয়োগের নীতিমালা’ অনুযায়ী অবসরে যাওয়া এসব যুগ্ম সচিব ও উপসচিব প্রাপ্যতা অনুসারে পদোন্নতিসহ আনুসাঙ্গিক সুবিধা ও পদমর্যাদা পাবেন। আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০২ সালের ‘উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি/নিয়োগের বিধিমালা’ মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বা কার্যকর হবে না।
২০০২ সালের ‘উপ-সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি/ নিয়োগের নীতিমালা’ প্রণয়নের পর জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ১২ উপ-সচিব এবং ২৭ জন যুগ্ম সচিবকে (তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা) পদোন্নতি বঞ্চিত করে চারদলীয় জোট সরকার।
পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ার পর ২০০২ সালের ওই বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করে যুগ্ম সচিব মো. সাইফুজ্জামান, মো. আমিরুল ইসলাম ও উপ-সচিব মো. খলিলুর রহমান ২০১৩ সালে তিনটি রিট আবেদন করেন।
রিটে ২০০২ সালের ‘উপ-সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি/ নিয়োগের বিধিমালা’ চ্যালেঞ্চ করা হয়।
এর আগে অবসরে যাওয়া বিসিএস প্রশাসনের পদোন্নতিবঞ্চিত ৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে সচিব পদমর্যাদাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার নির্দেশ চেয়ে ২০১৩ সালে রিটটি দায়ের করা হয়।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে অবসরে যাওয়া বিসিএস প্রশাসনের ৩৯ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে সচিব পদমর্যাদাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেন প্রদান করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। দীর্ঘদিন পর ওই রুলের শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করে আদালত।