মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনের ধুবাওয়ালা গ্রামের প্রভাবশালী ইউপি সদস্য মিঠু সরকারি খাল দখল করে বাঁধ দিয়ে মাছ নিধন করায় নৌ চলাচল ব্যাহতসহ জেলেরা মাছ ধরা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের পিছনের মগড়া নদী থেকে ধুবাওয়ালা, কৃষ্ণপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে মদন ইউনিয়নের কাইকুড়িয়া গ্রামের পিছনের বালই নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে আলহলহুলিয়া খালটি। প্রায় ৮/৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর এ খালের ওপর নির্মিতি হয়েছে ৩ টি পাকা সেতু। হাওরাঞ্চলের কয়েকটি উপজেলার লোকজন নৌ-যোগে মদন উপজেলা সদরে যাতায়াত করে থাকে এ খাল দিয়ে। এলাকার সাধারণ মানুষ ও মৎস্যজীবিরা এ খাল থেকে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্ত একটি প্রভাবশালী মহল মসজিদ-মাদ্রাসায় নাম ভাঙ্গিয়ে খালটি দখল করে ধুবাওয়ালা বাজারের পিছনের অংশে বাঁধ দিয়ে মাছ নিধন করছে। এতে উপজেলা সদর থেকে পণ্যবাহী নৌযানসহ কোনো রকম নৌকা এ খাল দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। বাঁধটি দ্রুত অপসারন করার জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ খালের ধুবাওয়ালা বাজারের পাশে বাঁধ দিয়ে মাছ নিধন করছে। নৌ চলাচলের কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। হাওর থেকে নৌযানগুলো আসলেও হাওর এলাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে।
এ সময় ধুবাওয়ালা গ্রামের বাবু জানান, বাঁধ দেয়ায় এখন আর কোনো নৌকা চলাচল করতে পারে না। গরীবরা আগে জাল দিয়ে মাছ ধরতো, এখন জাল নিয়ে মাছ ধরতে গেলে তারা রেখে দেয়। কেহ প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির স্বীকার করে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার ধুবাওয়ালা গ্রামের হেলাল উদ্দিন তালুকদার জানান, প্রভাবশালী মহলটি কাউকে পরোয়ার করে না। আলহুলহুলিয়া খালে বাঁধ দিয়ে নৌ-চলাচলের বাঁধা সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী এ নিয়ে কথা বললেই মারধর করে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহমেদ জানান, এটি একটি সরকারি খাল। বিশেষ করে হাওরের মানুষ এ খাল দিয়ে নৌ-যোগে যাতায়াত করে থাকে। আমার ইউপি সদস্য বা যে কেহ হোক কেন? নৌ চলাচলের জন্য বাঁধটি খুলে দিতে হবে।
ইউপি সদস্য মিঠু জানান, এ খালের ওপর আমি বাঁধ দেয়নি। অভিযোগটি সত্য নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রেরণ করেছি।