খবর৭১ঃ
আর মাত্র এক দিন। এমন কাউন্ট ডাউন বড় বড় ইভেন্টে খুব দেখা যায়। কিন্তু ব্যক্তি কোনো খেলোয়াড়ের জীবন নিয়ে এমন ক্ষণ গণনা একটা বিরল ব্যাপার। কিন্তু তাই হয়েছে। ফেসবুকে অন্তত গোটা দুয়েক গ্রুপে এবং বেশ কয়েক জন ভক্ত প্রতিদিন ক্ষণ গণনা করেছেন। রোজ জানিয়েছেন, আর এতো দিনের অপেক্ষা। অবশেষে সেই অপেক্ষার পালা শেষ হয়ে এলো। আজ সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন।
গত বছর ২৯ অক্টোবর দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব; এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। ফলে আজ শেষ হয়ে যাচ্ছে নিষেধাজ্ঞার সেই সময়টা। আগামীকাল থেকে আবার সব ধরনের ক্রিকেট খেলার জন্য উন্মুক্ত সাকিব। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারকে আবার দল নির্বাচনের জন্য পাওয়া যাবে, এটা স্বস্তি দিচ্ছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে।
তিন বার বাজিকরের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েও আইসিসি বা বিসিবিকে জানাননি সাকিব। সেই অপরাধে গত বছর শাস্তি পেয়েছিলেন তিনি। সেটা ছিল বাংলাদেশের জন্য একটা বজ্রাঘাতের মতো ব্যাপার। ২০২০ সালে বাংলাদেশের এক গাদা ম্যাচ খেলার কথা ছিল। সেই সময়টা সাকিবকে ছাড়া পাড়ি দেওয়ার সম্ভাবনাই আতঙ্কিত করেছিল সবাইকে। অবশ্য সাকিবকে ছাড়া খুব বেশি ম্যাচ খেলতে হয়নি বাংলাদেশকে। করোনা এসে সবাইকেই মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে।
সাকিব অক্টোবরে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ২১ সেপ্টেম্বর; আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সে ম্যাচেও ৭০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭টি টি-টোয়েন্টি, ৪টি টেস্ট এবং ৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে। ১১ মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে করোনার কারণে খেলাধুলা একেবারেই স্থগিত হয়ে আছে।
এখন বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিচ্ছে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার। কিছু ঘরোয়া ম্যাচ হয়ে গেছে। একটা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি হবে সামনে। ৪ নভেম্বর হয়তো দেশে ফিরবেন সাকিব। এর মধ্যে বিকেএসপিতে অনুশীলন করে যাওয়া এই অলরাউন্ডারও হয়তো ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে খেলায় ফিরবেন। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজে সম্ভবত দেখা যাবে তাকে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলছিলেন, সেরা ক্রিকেটারকে নির্বাচনের জন্য পাওয়া যাবে, এটা তার জন্য স্বস্তির ব্যাপার, ‘অবশ্যই এটা স্বস্তির। ওর মতো বেস্ট একজন ক্রিকেটারকে পেলে দল নির্বাচন সহজ হয়। আমরা তো চাই ও নিজেকে ফিট করে তৈরি থাকুক।’