মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর প্রতিনিধি:
সৈয়দপুরে স্কুল শিক্ষিকার বাসা থেকে চুরি যাওয়া দুইটি মোবাইল ফোনসেট ও একটি হাত ঘড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় চুরির ঘটনায় জড়িত তিন চোরকে গ্রেফতার করা হয়। সৈয়দপুর থানা পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর বাগানবাড়ী গ্রামের মৃত. শহিদুল ইসলামের পুত্র মো. আব্দুল মজিদ(৩৫), একই এলাকার সামশুল হকের পুত্র মো.খোকন(২১)এবং নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পশ্চিম কাঠালী এলাকার মৃত.আব্দুল গফুরের পুত্র মো. ইরফান (২৭)। জানা যায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুর জুম্মাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাবেক রেলওয়ে কর্মচারী মো.আব্দুল কাদের এবং সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা রেহেনা খানমের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা ওই দম্পতির ঘরের কয়েকটি স্টীলের আলমিরা ও ওয়্যারড্রপের তালা ভেঙ্গে অর্থ,স্বর্ণালংকার, দুইটি মোবাইল ফোন, হাতঘড়িসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে।
পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর চুরির ঘটনায় বাসার মালিক মো. আব্দুল কাদের থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান থানার এসআই মো. সাহিদুর রহমান। তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে তিনি তদন্ত শুরু করে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে জোর তৎপরতা চালান। তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সোর্সের মাধ্যমে চুরির ঘটনায় জড়িত আব্দুল মজিদকে (৩৫) গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কিলোরগঞ্জের কালিকাপুর স্কুল এন্ড কলেজ গেট থেকে গ্রেফতার করেন। এসময় তাঁর কাছ থেকে চুরি করা দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর দেয়া তথ্যে ওই শিক্ষিকার বাসা চুরির ঘটনায় জড়িত ইরফানকে (২৭) আজ শুক্রবার ভোরে দিনাজপুর জেলা শহরের নয়নপুর (কলেজ মোড়) এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁর দেয়া তথ্যে আজ শুক্রবার সকালে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পশ্চিম কাঠালী এলাকার বাড়ি থেকে মো. খোকনকে (২১) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে চুরি করা হাত ঘড়ি উদ্ধার করা হয়।
সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান বাসা চুরির মামলার তিন আাসামীকে গ্রেফতার ও চুরির যাওয়া মোবাইল ফোনসেট ও হাত ঘড়ি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আজ শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার হওয়া তিনজনকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহনের জন্য নীলফামারীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।