মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর প্রতিনিধি :
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অটোচালকের বিরুদ্ধে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের চেস্টার রেশ কাটতে না কাটতেই পাঁচদিনের মাথায় অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেস্টার অভিযোগে সৈয়দপুরে আবারও এক অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে শহরের নয়াটোলা কলিমনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত অটোচালক ওই যুবকের নাম মামুন ইসলাম (২১)। সে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার কুতুবপুর এলাকার মো. নুর ইসলামের ছেলে।
বর্তমানে সে নয়াটোলা কলিমনগর এলাকায় সালাউদ্দীন শেখের বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবত ভাড়ায় করে আসছে। থানায় দেয়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, শহরের নয়াটোলা এলাকার সালাহউদ্দিন শেখের বাড়িতে ভাড়ায় থাকে মামুন। একই বাসার ভাড়াটিয়া স্বামী পরিত্যাক্তা গার্মেন্টস কর্মী তাঁর স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে পাশের রুমে বসবাস করে আসছেন। বুধবার সকালে জীবিকার তাগিদে ওই স্কুল ছাত্রীর মা মেয়েকে বাসায় রেখে তাঁর কমস্থলে চলে যায়। এ সুযোগে মেয়েটি তাঁর ঘরে একা থাকায় সকাল ১০ টার দিকে প্রতিবেশী অটোচালক মামুন ওই ঘরে যায়। এসময় সে ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেস্টা করে। এসময় মেয়েটি সম্ভ্রম বাঁচাতে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। এসময় তারা বন্ধ থাকা ঘরের দরজা ভাঙ্গার চেস্টা করে। কিন্তু দরজা ভাঙ্গতে না পারায় সাথে সাথে পুলিশকে বিষয়টি জানায়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙ্গে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এসময় ধর্ষণের চেস্টাকারী অটোচালক মামুনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ওই মেয়ের মা বাদি হয়ে দুপুরে সৈয়দপুর থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। গ্রেফতার অটোচালক মামুনকে বিকেলে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য গত শনিবার রাতেও (২৬ সেপ্টেম্বর) সৈয়দপুর শহরের কাজীপাড়া- পাটোয়ারীপাড়া এলাকার মধ্যবর্তি স্থান ঈদগাহ এলাকায় অটোচালক কর্তৃক এক কিশোরী গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের ব্যর্থ হয়ে হত্যা চেস্টার ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনার পরদিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই অটোচালককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।