খবর৭১ঃ
দেশের পেঁয়াজের বাজারে চলমান সংকট কাটাতে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের আমদানি করা পেঁয়াজ বন্দরে আসতে শুরু করেছে। গতকাল সোমবার মিয়ানমারের প্রথম চালানের ৫৮ টন পেঁয়াজ দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারে খাতুনগঞ্জে ঢুকেছে।
মিয়ানমার থেকে আমদানি করা এসব পেঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু করেছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র। আর পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেঁয়াজও মঙ্গলবারের মধ্যে বন্দর থেকে খালাস করা হবে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করলে দেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এরই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে সোমবার প্রথম চালানের দুই কনটেইনার পেঁয়াজ খালাস হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান থেকে আসা চার কনটেইনার পেঁয়াজ বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের সূত্র মতে, সোমবার খালাস হওয়া মিয়ানমারের ৫৮ টন পেঁয়াজ এনেছে চট্টগ্রামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া পাইপ লাইনে থাকা অন্যান্য আমদানিকারকের পেঁয়াজও দ্রুত দেশে ঢুকবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর আমদানির পেঁয়াজ দ্রুত খালাসের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কাস্টম হাউসের অভ্যন্তরীণ ‘গ্রুপ-১’ শাখায় পেঁয়াজের চালান খালাসের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, মিয়ানমারের পেঁয়াজের আকার, রঙ ও স্বাদ অনেকটাই দেশি পেঁয়াজের মতো। আর একারণে ক্রেতাদের চাহিদাও রয়েছে। খাতুনগঞ্জের আড়তে মিয়ানমারের পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।