খবর৭১ঃ এক ছাত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার সহযোগী আরও কয়েকজনকেও আটক করা হয়।
সোমবার রাতে ‘হয়রানিমূলক মামলা’র প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে গোলযোগের সময় ভিপি নুরসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগের পাশাপাশি ধর্ষণ মামলায়ও নুরুল হক নুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ডিএমপির উপকমিশনার ওয়ালিদ হেসেন ঢাকা টাইমসকে ভিপি নুরের গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করে বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে মৎস্য ভবন মোড় থেকে রমনা ও শাহবাগ থানা যৌথ টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে রবিবার রাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন ঢাবির ওই ছাত্রী। মামলায় নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলায় নুরসহ মোট ছয়জন আসামি। বাকি আসামিরা হলেন হাসান আল মামুন, নাজমুল হাসান, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি। এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত হাসান আল মামুন।
এদিকে সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। নারী নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলার এজহার আদালতে এলে সেটি গ্রহণ করে আমলে নেন বিচারক। আলোচিত এ মামলার ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে মামলাটিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দাবি করেছেন ভিপি নুর। সোমবার বিকালে ফেসবুক লাইভে এসে নুর বলেন, ‘লালবাগ থানায় না কোথায় মামলা হয়েছে সেটি আমি জানি না। এমনকি কোন মেয়ে মামলাটি করেছে তাকেও চিনি না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা তো নতুন কিছু নয়। এসব মামলা-হামলা ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ। আমার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা হয়েছে। চুরির মামলা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলাও হয়েছে।’
এই মামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সেখান থেকেই ভিপি নুর গ্রেপ্তার হন। এ সময় আরও কয়েকজনকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে।