হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক:
ছাতকের ইউআরসি ভবনের প্রবেশ মুখে বিদেশী দৃষ্টিনন্দন পাতা বাহারের গাছ। গেইট পেরিয়ে একটু সামনে যেতেই লাল সাদা ইটের ঘেরাতেই গড়ে তুলা হয়েছে বাহারী সব কাঁচা ফুলের বাগান। বিভিন্ন রঙ-বেরঙের ফুলের এ বাগান থেকে ছড়াচ্ছে ফুলের সৌরভ। মনোরম সব ফুলের সৌরভে মন মাতিয়ে তুলছে কর্মকর্তা কর্মচারীসহ বিভিন্ন কাজে আসা শত শত শিক্ষকদের। প্রতিষ্ঠানের এমন মন জুড়ানো দৃশ্যটি পাশ দিয়ে যাওয়া যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করে।সেখানে বেড়ে উঠা গাছের ডালে ঝাঁকে ঝাঁকে নানা প্রজাতির ফুল, ফল আর সবজি শোভা পাচ্ছে।নিজস্ব শ্রম, মেধা আর অর্থ খরচ করে গাছের প্রতি ভালোবাসার কারণে ইউআরসিতে দৃষ্টিনন্দন বাগান করে চমকে দিয়েছেন ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা আহসান হাবিব।তিনি বলেন, প্রকৃতির সান্নিধ্য আমাকে অনেক বেশি আকর্ষণ করে। বাগানটিতে প্রতিমাসে বেতনের একটি অংশ দিয়ে বিভিন্ন জাতের গাছ কিনে রোপণ করি।কিছুদিন আগেই ভবনের পূর্বদিকে ছিল ময়লার স্তুপ দূর্গন্ধের জন্য অফিসের জানালা সব সময় বন্ধ ছিল। ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা আহসান হাবিবের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে মাটি ভরাটে ফিরেছে ভবনের পরিবেশ। তিনি আরও বলেন ,যে কোন স্থান/ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অদম্য ইচ্ছা। ইউআরসির উন্নয়নে তার আরো পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান। উপজেলা পরিষদের সহায়তায় সংযোগ সড়ক নির্মানের মাধ্যমে আরো উন্নত হয়েছে ইউআরসি চত্বরের পরিবেশ। প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার তালুকদার জানান, উপজেলা পরিষদ,অফিসার, শিক্ষক,সাধারণ মানুষ সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও মডেল হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার দাস জানান,ট্রেনিং করতে আসা শিক্ষকগণ বর্ষা মৌসুমে কাদা মাড়িয়ে ভবনটিতে ঢুকতেন। একটি পাকা রাস্তা করার কোনো উদ্যোগ নেননি বা পরিকল্পনাও মাথায় আনেননি কোনো কর্মকর্তার। বর্তমান ইউআরসি মোস্তফা আহসান হাবিব স্যার আসার পর ধীরে ধীরে ভবনসহ ভবনের আশেপাশের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাচ্ছেন। রাস্তা পাকা করেছেন, রাস্তার দুপাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ এবং মৌসুমি সবজির বাগানটা চোখে পড়ার মতো।