খবর৭১ঃ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর দেশে পেঁয়াজের অস্থির বাজার সুস্থির করতে নিত্যপণ্যটির আমদানি ঋণপত্র খোলার (এলসি) ক্ষেত্রে মার্জিন বা নগদ জমার হার ‘ন্যূনতম পর্যায়ে’ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক সার্কুলারে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলো ন্যূনতম টাকা জমা রেখে ঋণপত্র খুলতে পারবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পেঁয়াজসহ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়, যা গত ৩০ মে পর্যন্ত বহাল ছিল। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারেও পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য পেঁয়াজ আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হলো। এ নির্দেশনা এখন থেকেই কার্যকর হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
১৪ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধের ঘোষণা করে ভারত। এরপরই দেশের বাজারে হু হু বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর বাজারে বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।
আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮৫ টাকায়। মাত্র তিন দিন আগেও দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।