এনআইডি জালিয়াতি: ইসির তদন্ত কমিটি গঠন

0
350
এনআইডি জালিয়াতি: ইসির তদন্ত কমিটি গঠন

খবর৭১ঃ গুলশান ও সবুজবাগ থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের জাল জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি ও জাল এনআইডির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। আজ সোমবার বিকেলে আইডিইএ প্রকল্পের অফিসার ইনচার্জ কমিউনিকেশন স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান একথা জানান।

তিনি জানান, আজ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এবং আইডিএ প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মহাপরিচালক ও আইডিইএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গুলশান ও সবুজবাগ থানা নির্বাচন অফিসের ডাটাএন্ট্রি অপারেটরের জাল এনআইডি তৈরির ও জাল এনআইডির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এনআইডি উইংয়ের অপারেশন শাখা, আইটি বিভাগ এবং প্রোজেক্টের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ৪ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ পাশাপাশি মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনআইডি বানানো সন্দেহভাজন এমন ১৭টি এনআইডি সাময়িকভাবে ব্লক করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।

তিনি জানান, বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াত চক্রের অপতৎপরতা নির্মূলে এবার দেশজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে । মঙ্গলবার থেকে মাঠ পর্যায়ের অফিসে জাতীয় পরিচয় সংক্রান্ত সেবা প্রদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আশিকুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার থেকে রাজধানী ঢাকার প্রতিটি থানা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয় সংক্রান্ত সেবা প্রদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে।পর্যায়ক্রমে এই সাঁড়াশি অভিযান সারাদেশব্যাপী পরিচালনা করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আইডিইএ প্রকল্পের ১ হাজার ১৩০ জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সারাদেশে বিভিন্ন থানা/উপজেলা/আঞ্চলিক নির্বাচন ও প্রকল্প কার্যালয়ে কর্মরত। তারা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, বিতরণ ও ভোটার রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি ও অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ করে থাকেন।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, এনআইডির তথ্য উপাত্ত বিৃকত বা নষ্ট করলে এমন অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ১ লাখ অর্থ দণ্ড বা উভয় দণ্ড রয়েছে।

কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারি দায়িত্বে অবহেলা করলে অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড রয়েছে আইনে।

এছাড়া ভোটার তালিকা আইনে এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২ হাজার বা উভয় দণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here