খবর৭১ঃ ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি মিডিয়া) জিসানুল হক।
তিনি বলেন, কাকরাইলের বাসায় অবস্থান করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত ১৯৫ কোটি টাকা সহযোগী এনামুল হক আরমানের (৫৬) সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দুটি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েস মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম সম্রাটের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দুটি ফ্ল্যাট ক্রোক করার আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত সম্রাটের দুটি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেন। একটি ফ্ল্যাট কাকরাইলে, অন্যটি মহাখালীতে।
তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সম্রাটের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দুটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মহাখালীর ফ্ল্যাটটি সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চৌধুরীর নামে, আর কাকরাইলের ফ্ল্যাটটি সম্রাটের ভাই এবং আরেক ব্যক্তির মালিকানাধীন। এর আগে সম্রাটের নামে থাকা তিনটি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর বাইরে সম্রাটের নামে থাকা সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব নেয়া হচ্ছে।
ক্যাসিনো সম্রাট বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন জানান, সম্রাট হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
গত বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
গত বছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর আলোচনায় আসে ক্যাসিনো কিং সম্রাটের নাম। পরে বহু নাটকীয়তার পর গত বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।