খবর৭১ঃ রূপচাঁদার মত দেখতে, কিন্তু আদতে পিরানহা। শুধু নিষিদ্ধ এই পিরানহা মাছই নয় কারওয়ান বাজার আড়তে অস্ট্রেলিয়ান মাগুর ও ক্ষতিকর রং দিয়ে মাছ বিক্রির অভিযোগে পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাছের বাজারে অভিযান চালিয়েছে র্যাব।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, এই কারবারের নেপথ্যে একটি বড় সিন্ডিকেট আছে। তারাই মূলত কারওয়ান বাজার মাছের আড়ত নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা চাইলেই এই অবৈধ অপতৎপরতা বন্ধ করতে পারে। কিন্তু মানুষকে ঠকিয়ে বেশি টাকার লোভে তারা এই অসৎ কর্মকাণ্ড বন্ধ করছে না।
অভিযানের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে মাছে বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান চালিয়ে কারওয়ান বাজার থেকে সামুদ্রিক রূপচাঁদা মাছ বলে নিষিদ্ধ পিরানহা বিক্রি, অস্ট্রেলিয়ান মাগুর বিক্রিসহ ক্ষতিকর রং দিয়ে মাছ বিক্রির অভিযোগে পাঁচজন মাছ কারবারিকে ১ থেকে ৩ মাস মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযান এর আগেও কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে ধরা পড়ে। সে সময় অভিযুক্তদের ধরে সাজাও দেওয়া হয়। কিন্তু এতে মাছ কারবারিরা শিক্ষা নেই নেই।
র্যাব সূত্র জানায়, রং, জেলি ও ক্যামিক্যাল মেশানো মাছ খেলে মানব শরীরে নানান রোগ ব্যধির সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকেও জনসচেতনা বাড়ানো হয়। বিভিন্ন অভিযানে এই নিয়ে সতর্ক করা হয়। কিন্তু অসাধু কারবারিরা কোন কিছুই আমলে নেয় না তারা শুধু টাকা চেনে। এরপর পরও যারা এ ধরনের অবৈধ বেআইনি কারবার করবে তাদেরকে আরো কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।
মাছে কখন জেলি ও রং মেশানো হয় জানতে চাইলে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, ফলে যেভাবে কেমিক্যাল মিশিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে পাকানো হয় বা ফলের চামড়ার উপরে রং সুন্দর করা হয় তেমনি মাছ তাজা দেখাতে রং কেমিক্যাল ও জেলি ব্যবহার করে অবৈধ মাছ কারবারিরা। বিশেষ করে মাছের ডালার উপর এক থেকে দুশো পাওয়ারের এনার্জি সেভিং বাল্ব জ্বলতে থাকে। এতে পচা মাছও তাজা দেখায়। ক্রেতারা না বুঝেই এই মাছ কিনে প্রতারিত হয়। অসৎ উপায়ের এই কারবার বন্ধ করতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।