খবর৭১ঃ এখনই রেলের ভাড়া বাড়ছে না। এখন পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। সোমবার রেলভবনে ৫০টি ব্রডগেজ ও ৭৫টি মিটারগেজ লাগেজ ভ্যান ক্রয়ের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে এমনটি জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হলে রেলের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে যখন মানুষের সামর্থ্য বাড়বে, যে সার্ভিস দিচ্ছি সেই সার্ভিস যখন বৃদ্ধি করতে পারব, যখন একটা স্বাভাবিক অবস্থা আসবে, তখন সেটা (ভাড়া বৃদ্ধি) নিয়ে চিন্তা করতে পারি কিনা- সেটি নিয়ে দেড় বছর আগে একটি কমিটি করে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সেই কমিটি সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। তার মানে এই নয় যে আমরা এখনই রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করছি। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে যে প্রশ্নগুলো তোলা হচ্ছে, সেটি কিন্তু সঠিক না।
লাগেজ ভ্যান ক্রয়ের চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে কম খরচে ঢাকায় পণ্য নিয়ে আসতে পারবে কৃষক। ফলে তারা লাভবান হবেন। পাশাপাশি ফ্রেশ পণ্য পাবে রাজধানীবাসী। তাই এই প্রকল্প নেয়া হয়েছে৷
কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সংক্রমণ এড়াতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে প্রথমে আট জোড়া এবং পরে ৩ জুন আরও ১১ জোড়া ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু করে।
১৫ আগস্টের পর পর্যায়ক্রমে সব আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৬ আগস্ট ১৩ জোড়া এবং ২৭ অগাস্ট থেকে আরও ১৮ জোড়া ট্রেন চালু হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চালু হলে মোট ৬৭ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হবে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধি-নিষেধের কিছু বিষয় শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। যাত্রার ৫ দিন আগে থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ দিন আগে থেকে টিকেট বিক্রি করা হবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. সামসুজ্জামান প্রমুখ।