ডিআইজি প্রিজনস পার্থের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

0
371
ডিআইজি প্রিজনস পার্থের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

খবর৭১ঃ সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক।

৮০ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার হওয়া এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সোমবার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন এই চার্জশিট দাখিল করেন।

ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ চার্জশিটের বিষয়ে আগামী ৩১ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে গত বছর ২৮ জুলাই বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন নর্থ রোডের (ভূতেরগলি) ২৭-২৮/১ নম্বর বাসার বি/৬ নম্বর ফ্ল্যাটে গোপাল বণিক পার্থের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করেন। পরে ওই বছর ২৯ জুলাই দণ্ডবিধির ১৬১, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।

২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর, এক কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক ও ফেনসিডিলসহ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন থেকে গ্রেপ্তার হন চট্টগ্রামের তখনকার জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস। সে সময় তিনি গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে নিজের ঘুষবাণিজ্যের পেছনে সহায়ক শক্তি হিসেবে ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিকের নাম বলেন। সেই থেকে কারাগারের বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। উঠে আসে কারাগারকে মাদকের হাট বানানোর গল্প। আর সেই গল্পের সূত্র ধরে দুদকের অনুসন্ধানী টিম সেগুনবাগিচার কার্যালয়ে পার্থ গোপালকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই দুপুর ২টার দিকে ফ্ল্যাটে অভিযানে গেলে ফ্ল্যাটে না ঢুকতে দিয়ে বণিকের স্ত্রী চিকিৎসক রতন মনি সাহা প্রায় দুই ঘণ্টা দুদক টিমের সঙ্গে টালবাহানা করেন। প্রথমে দুদক সদস্যদের মোবাইল ফোনে বলেন, ‘পার্থ বাসায় নেই, মিরপুরে আছেন। সেখান থেকে ফিরতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে।’ অথচ সে সময় পার্থ ফ্ল্যাটেই ছিলেন।

এরপর দুদক টিম বিকল্পভাবে ভেতরে প্রবেশের কথা জানালে দরজা খুলে দেন মনি সাহা। তবে দরজা খোলার আগেই বাসায় রাখা ওই ৮০ লাখ টাকা দুটি বস্তায় ভরে পাশের বাসার ছাদে ফেলে দেন পার্থের স্ত্রী। পরে তাকে নিয়েই ওই টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই তিনি গ্রেপ্তার হন এবং এরপর থেকে কারাগারেই আছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here