খবর৭১ঃ কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার রিমান্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ র্যাবের হেফাজতে নেয়া হবে বলে পুলিশের এলিট ফোর্সটির গণমাধ্যম শাখার প্রধান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
তিনি বলেছেন, ঘটনার মূল সাক্ষী শিপ্রা ও সিফাতের কম্পিউটার ডিভাইসসহ ২৯টি সামগ্রী কক্সবাজারের রামু থানায় পুলিশের হেফাজতে রক্ষিত আছে। আমরা তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যম উক্ত সরঞ্জামাদি র্যাব হেফাজতে নেয়া হবে। কারণ, মামলার তদন্তের স্বার্থে উক্ত কম্পিউটার ডিভাইস গুরুত্বপূর্ণ’।
সোমবার রাতে কক্সবাজারের জলতরঙ্গ রিসোর্টে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব বলেন। আশিক বিল্লাহ বলেন, ইতিমধ্যে র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের চার সদস্য ও সন্দেহভাজন তিন আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমরা তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। দক্ষ ও পেশাদারির মাধ্যমে এই মামলা তদন্ত করছে র্যাব। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সিনহা হত্যা মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গতকাল টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ‘ওসি প্রদীপসহ যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে তাদের মধ্যে পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়েছে। ওসি প্রদীপকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্য চার পুলিশ সদস্য ও তিন সাক্ষীদের আগেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছি আমরা।’
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ।
এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দু’জনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।
ওই ঘটনায় গত ৫ আগস্ট টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমারসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে মামলার এজাহার দাখিল করেন মেজর সিনহার বোন। পরদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রদীপসহ সাত আসামি।
ওইদিন দুই দফা শুনানি শেষে তিন কর্মকর্তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর কয়েকদিন পর বাকি চার পুলিশ সদস্যকে রিমান্ডে দেন আদালত।
আদালতের নির্দেশের পর ওসি প্রদীপ, এসআই লিয়াকত ও নন্দ দুলালকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তবে বারবারই পিছিয়েছে রিমান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া। অবশেষে তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়ার কথা জানায় র্যাব।