খবর৭১ঃ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার দুই আসামিকে দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি।
সোমবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা কারাগার ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে বের হয়ে যান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি। তবে এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো প্রশ্নের উত্তর কিংবা কথা বলতে রাজি হননি তদন্ত কমিটির কেউ।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘নিহত সিনহার বোনের করা মামলার দুই আসামি পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিতকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে বেলা ১১টা থেকে। যা অব্যাহত থাকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। এরপর তদন্ত কমিটি সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে কারাগার থেকে বের হয়ে যান।’
এর আগে জানানো হয় যে, আগামী সাতদিনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি।
গতকাল রোববার (১৬ আগস্ট) শামলাপুরে গণ শুনানি শেষে এ কথা বলেন কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। আগামীতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে তদন্ত কমিটি সুপারিশ দেবে বলেও জানান তিনি।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পরে সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হয় গণ শুনানি। ১১ জন সাক্ষী দিতে এলেও বিশ্বাস না হওয়ায় দুই জনের সাক্ষী নেয়নি তদন্ত কমিটি। প্রায় সাত ঘণ্টা শুনানির পর বলা হয়, আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যেই সিনহা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
এই তদন্ত প্রতিবেদন হত্যা মামলার তদন্তে কাজে আসবে কি না এমন প্রশ্ন ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির কাছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদন কাজে লাগবে কি না তা বুঝবে তদন্ত কর্মকর্তা। আমরা সরকারের কাছে জমা দেব। সেটি তদন্ত কর্মকর্তা কাজে লাগাবে কি না তা তাদের ওপর নির্ভর করবে, আমাদের ওপর না।’
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৬০ জনেরও বেশি সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান।