খবর৭১ঃ
মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে রিসার্কুলেটিং অ্যাকুয়া কালচার (রাস) পদ্ধতিতে উৎপাদিত কৈ মাছ বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে। নিরাপদ খাদ্যই আমাদের অঙ্গীকার শ্লোগানকে সামনে রেখে সৈয়দপুর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসারের কার্যালয় চত্বরে গতকাল বুধবার বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সৈয়দপুর সিনিয়র উপজেলা মৎস অফিসার সানী খান মজলিস ফিতা কেটে জামান অ্যাকুয়া ফিশ ফার্মের উৎপাদিত কৈ মাছ বাজারজাতকরণের শুভ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের মছে হাজীপাড়ায় অবস্থিত জামান অ্যাকুয়া ফিশ ফার্মের কর্ণধার মো. কামরুজ্জামান কনক। এ সময় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডা. মো. রাশেদুল হক, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রবিউল আলম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মো. আল -মিজানুর রহমান, উপজেলা সমবায় অফিসার মোহাম্মদ মশিউর রহমান প্রমুখ । রাস পদ্ধতিতে উৎপাদিত মাছ সম্পর্কে প্রধান অতিথি সৈয়দপুর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সানী খান মজলিস জানান, এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত মাছ ট্যাঙ্কে চাষ করা হয়।
এতে রাসায়নিক কেমিক্যাল ও সার প্রয়োগ করা হয় না। ফলে রাস পদ্ধতিতে উৎপাদিত মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু । তিনি বলেন, দেশের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে রাস পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই পদ্ধতিতে অল্প অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করা হয়। রাস পদ্ধতিতে একই পানি বার বার পরিশোধিত করে মাছের জন্য উপযোগী করা হয়। এর ফলে পানি অপচয় হওয়ার সুযোগ নেই। জামান অ্যাকুয়া ফিশ ফার্মের স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান কনক জানান, ‘চলতি বছরে আমরা বাণিজ্যিক আকারে রাস পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছি।
এখন থেকে আমাদের ফার্মে উৎপাদিত ভিয়েতনামি কৈ মাছ বিক্রি শুরু হলো। প্রতিদিনই আমাদের ফার্মে মাছ বিক্রি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন ক্রেতা সাধারণের সুবিধার্থে হোম ডেলিভারি সার্ভিসও চালু করা হয়েছে। এরপর আমাদের ফিশ ফার্মে উৎপাদিত দেশি কৈ ও শিং মাছ বিক্রি শুরু হবে।