আব্দুল আওয়াল, মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি নেত্রকানার মদেনর পল্লীেত বিয়ের দাবিতে কিটনাশক বিষ হাতে নিয়ে প্রেমিকের বাড়ড়িতে অনশনে বসা সেই প্রেমিকার (১৯) ভাই নোবেল বাদী হয়ে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। প্রেমিক রুমেলকে প্রধান আসামি করে রবিবার রাতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
জানা যায়, আট বছর আগে একটি বিয়ের অনুষ্টানে দেখা হয় উপেজলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের ধুবাওয়ালা গ্রামের মেনু ভূঁইয়ার ছেলে রুমেলের সাথে। তখন থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন মন দেওয়া
নেওয়ার পর বার বার বিয়ের কথা বলেলও পরিবারের লোকজন এ বিষয় মেনে না নেওয়ায় নিরুপায় হয়ে (২আগষ্ট) রবিবার সকালে রুমেলের বাড়ি ধুবাওয়ালা গ্রামে গিয়ে অনশন শুরু করে প্রেমিকা। রুমেলের পরিবারের লোকজন তার সাথ খারাপ আচরণ করায় এক পর্যায়ে সে আত্মহত্যা করতে চাইলে রুমেলের চাচাতো ভাই মদন উপেজলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল আহেমদ রবিবার সন্ধ্যায় মেয়েটিকে তার হেফাজতে রাখে। পরে (৩আগষ্ট) সােমবার বিকালে মদন থানার পুলিশের সহযোগীতায় এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিদের সাথে নিয়ে তার নিজ বাড়ি রেখে চার দিনের মধ্যে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয়। ভাইস চেয়ারম্যানের আশ্বাসের ৫ দিন অতিবাহিত
হলেও এর কােন সুরাহা হয়নি। তাই রবিবার রাতে প্রেমিকার ভাই নোবেল বাদী হয়ে মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
মদন উপেজলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তােফায়েল আহেমদ জানান, ধুবাওয়ালা গ্রামে বিয়ের দাবিতে কিটনাশক জাতীয় বিষ হাতে নিয়ে একটি মেয়ে অনশন করে আত্মহত্যা করার জন্য চেষ্টা করায় জনপ্রিতিনিধি হিসাবে সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে আমার হেফাজতে রাখি। অনেক চেষ্টার পর পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে নিয়ে মেয়েটিকে তার চাচা বুলবুল আহম্মেদের হেফাজতে রেখে চার দিনের মধ্যে মীমাংসা করবো বলে আশ্বাস দেই। রুমেল আত্মগোপনে থাকায় তার পরিবারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও এর সুরাহা করতে পারিনি।
মদন থানার এস আই আশরাফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় রবিবার রাতে প্রেমিকার ভাই নোবেল বাদী হয়ে ৩ জনের নামসহ আরো অজ্ঞাতনামা আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের
করেছেন। সোমবার মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্যে নেত্রকোনায় প্রেরণ করা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা চলছে।