শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোলঃ যশোর-১ ( শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, “সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে” কথাটি যেমন বাস্তব সত্য তদ্রæপ একজন নিষ্টাবান দ্বায়িত্বশীল নেতা হতে হলে সবার আগে নিজ স্ত্রীর অনুপ্রেরণা একান্ত প্রয়োজন। অনেক স্ত্রী আছেন দলের সুসময়ে স্বামীদেরকে স্বার্থের মোহে সামনের দিকে এগিয়ে দেয় এবং দু:সময়ে সংসার পরিজনের কথা থেবে পেছন থেকে টেনে ধরে।
সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সহধর্মীনি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা দলের সুখে দুখে সর্বসময়ে তাঁর স্বামীকে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। সংসার ছেলেমেয়েদের কথা না ভেবে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে নিজ স্বামীকে বিলিয়ে দিয়েছেন। যার সার্বিক অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাদেশের নেতা নয়, তিনি বিশ^ নেতার আসনে অলংকৃত হয়েছেন। তাই, বঙ্গমাতার মতো এমন মহিয়সী নারী পৃথিবীতে বিরল। শনিবার বেলা ১০ টার সময় শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সহধর্মীনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব এর ৯০ তম জন্মদিন উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া অনুষ্ঠানে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি আরো বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছা এমন একজন নারী ছিলেন যার জীবনাদর্শ থেকে আমাদের মেয়েরা শিক্ষা লাভ করলে এদেশ একদিন উন্নয়নের চরম শিখরে উন্নীত হবে। এসময় তিনি শোকের মাস আগষ্টের মর্মকথা অনুভব করে শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে সামনের দিকে এগিয়ে চলার আহবান জানান। বলেন, বিএনপি-জামায়াত ইসলামের শাসনামল ২০০১ পরবর্তী সময়গুলো আমি আর দেখতে চাই না। কারো হাত নেই, কারো পা নেই। মাথা ফাঁটা। লাশ পড়ে আছে খালে-বিলে-রাস্তার ধারে। জমির ফসল কেটে নিয়েগেছে। হালের গরু ধরে নিয়ে গেছে ওই জামায়াত-বিএনপির লুটতরাজ দূবৃত্ত¡রা। মামলা-মোকদ্দমা আরো কতো কিছু। এসময় তিনি দলের ভিতর থাকা সকল কলহ বিবাদ মিটিয়ে ফেলে একসাথে চলার আহবান জানান।
এসময় সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন রাগকে হারাম করে কারো উপর প্রতিশোধ না নেওয়া বা সকল ধরণের অপরাধ না করার আহবান জানান। বলেন, স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি জামায়াত-বিএনপিকে দূর্বল ভাবলে চলবে না। তারা এখনও পর্যন্ত দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কৌশলে ষঢ়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের সাথে মিশে একাকার হয়ে গিয়ে আওয়ামীলীগের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টা করছে। তাই দলের ভিতরে লুকিয়ে থাকা সকল রাগ, হিংসা পরিহার করে একে অন্যের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদেরকে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে। সকল অপশক্তি রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব সালেহ আহমেদ মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক ও যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদ আসিফ-উদ-দৌলা অলোক, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর হোসেন, ডেপুটি কমান্ডার নাসির উদ্দিন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু।
উক্ত বর্ধিত সভায় আরো বক্তব্য প্রদান করেন বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান ঘেনা, শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, সদর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোরাদ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তাহাজ্জেল হোসন, সাধারণ সম্পাক সাহিদুজ্জামান শহীদ, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, লক্ষণপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম, আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, নিজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আযাদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, ডিহি ইউপি চেয়াম্যান হোসেন আলী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, উলাশী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আয়নাল হক, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আযাদ, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইলিয়াস কবির বকুল, কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকু, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, গোগা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান হাদিউজ্জামান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।