খবর৭১ঃ
বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন।
প্রাথমিকভাবে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নামে বিস্ফোরক সামগ্রীর বিশাল মজুত থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারাও একই রকমের তথ্য দিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি প্রেসিডেন্ট আউন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। রকেট বা বোমা কিংবা অন্য কোনো ভাবে বাইরে থেকে হস্তক্ষেপের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।’
আউন আরও জানান, এ বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন পর্যায়ে তদন্ত চলছে। ‘প্রথমত, কিভাবে ওই বিস্ফোরকগুলো গুদামে ঢুকেছে ও মজুত করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, অবহেলা বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে কিনা। এবং তৃতীয়ত, বাইরের হস্তক্ষেপের আশঙ্কা।’
গত কয়েক বছর ধরে ইতিহাসের ভয়াবহ আর্থিক সংকটে ভুগছে লেবানন। আর্থিক সংকটের মধ্যেই ’মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’ হিসেবে হাজির হয় করোনা ভাইরাসের মহামারী।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের যখন হিমশিম অবস্থা তখনই ঘটল বৈরুতের ধ্বংসাত্মক বিস্ফোরণ যাতে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে পুরো বন্দরনগরী। গত চারদিন ধরে চলছে উদ্ধার অভিযান।
উদ্ধার তৎপরতায় হাত লাগিয়েছে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডস থেকে আসা দুটি বিশেষজ্ঞ দলও। শনিবার পর্যন্ত অন্তত ১৫৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৬৮ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।